মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন

গাজায় আগ্রাসন আরও জোরালো করায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে হামাসের মিত্র গোষ্ঠীরাও। আজ (রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। এতে মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনা চরম পর্যায় পৌঁছেছে। বিমান হামলার সাইরেন বাজিয়ে পুরো দেশের মানুষকে সতর্ক করেছে ইসরাইল। অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তিতে কার্যকর চুক্তিতে না পৌঁছানোয় নিজ দেশেই বিপাকে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে বিক্ষোভ আরও জোরালো করেছেন ইসরাইলিরা।

হামাসকে নির্মূলের নামে ১১ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা চরম পর্যায় পৌঁছেছে। হামাসের সবচেয়ে বড় মিত্র ইরান ও তাদের সমর্থিত লেবাননেন হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর সঙ্গেও ঘটছে একের পর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা।

এবার রোববার সকালে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে আঘাত হেনেছে। এতে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গেই দেশটি জুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি জনবসতিহীন এলাকায় পড়ায় কোনো হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এতে মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনার পারদ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই নিজ দেশের জনগণের বিক্ষোভের মুখে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার দিন গড়িয়ে রাতেও নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ছিল তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহর।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় থাকা হামাসের টানেল থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পরও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কোনো অগ্রগতির আভাস না মেলায় সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরালো হচ্ছে দেশটিতে। ধরপাকড় চালিয়েও আন্দোলনকারীদের দমাতে পারছে না পুলিশ, দেশজুড়ে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন।

নেতানিয়াহু বিরোধী উত্তপ্ত স্লোগান ছাড়াও রং দিয়ে রক্তাক্ত রূপে হাত-মুখ বেঁধে জিম্মিদের করুণ বেশে চোখের পানিতেও নিজেদের আবেদন তুলে ধরছেন আন্দোলনকারীরা। যেখানে রয়েছেন গাজায় জিম্মি থাকাদের স্বজনরাও। জিম্মিদের বাঁচাতে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরানো ছাড়া বিকল্প নেই বলে জানায় বিক্ষুব্ধ ইসরাইলিরা।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা আতঙ্কিত। কারণ আমাদের জিম্মিরা হামাসের টানেলে বন্দী রয়েছে, যারা অমানবিক পরিস্থিতি ভোগ করছেন। তারা বন্দী অবস্থায় যা সহ্য করছেন তা অকল্পনীয়। ১১ মাস ধরে দিনের আলো না দেখে গভীর টানেলে অপুষ্টিতে ভুগছে। যতদিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকবে, এই যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। তাদের বাচাঁতে কোনো জিম্মি চুক্তি হবে না। জিম্মিদের বাঁচাতে নেতানিয়াহুকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।'

এত কিছুর পরও ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আগ্রাসনের ভয়াবহতা আরও বাড়াচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। নিরীহদের প্রাণ যেমন কেড়ে নিচ্ছে, একইসঙ্গে বারবার আশ্রয় ছাড়া করে পালাতে বাধ্য করছে লাখ লাখ মানুষকে। নতুন করে উত্তরাঞ্চলের তিনটি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

এসএস