ইরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর থেকেই এর জেরে উত্তপ্ত ইসরাইল-লেবানন সীমান্ত। ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একের পর এক রকেট হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে আসছে আইডিএফ। হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত গোটা সীমান্ত পরিস্থিতি। শুক্রবারও (৯ আগস্ট) এর ব্যতিক্রম ছিলনা।
দিনভর সীমান্তে পাল্টাপাল্টি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি বাহিনী। এতে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও, উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি এ হামলায় হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
একদিকে যখন উত্তপ্ত লেবানন সীমান্তে, অন্যদিকে তখন অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন প্রান্তে সর্বাত্মক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এরমধ্যেই শুক্রবার আরও একবার ইসরাইলি বর্বরতা দেখলো বিশ্ববাসী। এদিন, গাজা সিটির দারাজ এলাকায় একটি স্কুল লক্ষ্য করে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে, ঘটনাস্থলেই নিহত হন গৃহহীন শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি। আহত হন আরও অনেকে। হাতহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। স্কুলটি গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
শুধু গাজা সিটির অভ্যন্তরে নয়, ইসরাইলি হামলা জোরদার করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকাতেও। সম্প্রতি খান ইউনিসে একযোগে বিমান হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী। ওই হামলায় বহু হতাহতের রেশ না কাটতেই শুক্রবারও ফের খান ইউনিস ও এর আশপাশের এলাকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা জোরদার করে আইডিএফ। শুধু তাই নয়, আরও হামলার আশঙ্কায় এরইমধ্যে খান ইউনিসের প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে জোরপূর্বক এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। খান ইউনিস ছেড়ে এসব বাসিন্দাকে আল মাওয়াসিতে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও, আগে থেকেই ওই অঞ্চলটি মাত্রাতিরিক্ত ঘনবসতি বলে জানিয়েছে গাজা প্রশাসন।
এই যখন অবস্থা, তখন হানিয়া হত্যাকাণ্ডের জেরে ইরানের যেকোনো ধরনের হামলা মোকাবিলায় ইসরাইলকে সাড়ে তিনশ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে, ওই সহায়তার আওতায় তেল আবিবে অত্যাধুনিক এফ টুয়েন্ট টু যুদ্ধবিমানসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র সরবরাহ শুরু হয়েছে বলেও জানায় ওয়াশিংটন।