চলমান ইসরাইলি সেনা অভিযানে গাজায় মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল আর শরণার্থী শিবিরগুলোতে পরিস্থিতি চরম ভয়াবহ। মিশরের সীমান্ত সংলগ্ন রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার অনেক মানুষ। এবার আগামী সপ্তাহে রাফায় সেনা অভিযানের কথা জানালেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল আর খান ইউনিস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে ইসরাইলের।
গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ত্রাণ সরবরাহেও বাঁধা দিচ্ছে ইসরাইল। তেল আবিব যেন গাজায় ত্রাণ সরবরাহে সহযোগিতা করে, সেই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত। জাতিসংঘের পূর্বাভাস, কয়েক সপ্তাহে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে গাজা। গাজার ২২ লাখ মানুষের প্রায় সবাই খাদ্য অনিশ্চয়তায় ভুগছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি উপত্যকার ১৪ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
খাদ্যের অভাবে চরম অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা। যদিও ইসরাইলের দাবি, গাজায় ত্রাণ প্রবেশের সীমা কখনও বেঁধে দেয়নি তারা। চরম এই অস্থিতিশীলতার মধ্যে গাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। ১ কেজি ময়দার দাম আগে ১ শেকেল ছিল, যা এখন ৫০ শেকেল। এক কেজি চিনির দাম আগে সাড়ে ৩ শেকেল ছিল, এখন ৮০ শেকেল।
যদিও ইসরাইল আরও জানায়, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের ইস্যু করা আদেশ অনুযায়ী উপত্যকায় নিরবচ্ছিন্ন ত্রাণ সরবরাহে নতুন উদ্যোগ নেয়া হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, উপত্যকার স্থল, জল আর আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ সহজ করবে তেল আবিব।