বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা রাখাইন বর্তমানে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কেবল অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েনি, বরং নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জও।
রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে দু’দেশের সীমান্তে চোরাচালান বেড়েছে ব্যাপক হারে। বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। অন্যদিকে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে স্বর্ণ ও বিভিন্ন ধরনের মাদক। এর পাশাপাশি ছোট-বড় দলে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে নতুন করে আরো রোহিঙ্গা।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, নীতিগতভাবে রোহিঙ্গা ঢুকতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও গত দুই মাসে ৬০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। রাখাইনের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বাড়ায় আবারো বেড়েছে শঙ্কা, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আজকের সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সমস্যাটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
এ বিষয়ে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, 'বর্তমানে রাখাইন পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ করে যাবে।'
বক্তব্যে উঠে আসে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গও। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও জানালেন বাংলাদেশের অবস্থান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়ার সাথে ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নেই। ফেরত নেবার প্রক্রিয়া ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দু'টিই একসাথে চলবে।'
নতুন বছরে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ ভালো সম্পর্ক চায় বলেও এ সময় জানান মো. তৌহিদ হোসেন।
এছাড়া জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্ট জানুয়ারির মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।