আবারো নজিরবিহীন বিমান হামলা দেখলো গাজাবাসী। বৃহস্পতিবার উপত্যকাটিতে ৩৪ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২ সংবাদকর্মী। শুক্রবারও চলছে হামলা। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন নিহতের খবর মিলেছে।
গাজার পাশাপাশি হামলা চালানো হয়েছে লেবাননে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী আইডিএফের দাবি, ৩ দফা বিমান হামলায় গুড়িয়ে ফেলা হয়েছে হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটি। এদিকে গাজা ও লেবাননে আগ্রাসনের জবাবে ইসরাইলে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। যদিও হামলা প্রতিহতের দাবি আইডিএফের।
১৫ মাসের যুদ্ধে সবচেয়ে সংকটে গাজার শিশুরা। ফরাসি দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডাস জানিয়েছে, শিশুরা জন্মের আগেই মৃত্যুর শঙ্কায় পড়ছে। আর ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুরা ভুগছে অপুষ্টিতে। ফিলিস্তিনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর মুখে সাড়ে ৩ হাজার শিশু।
চিকিৎসক মোহাম্মাদ আল আঘা বলেন, ‘ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানে আমরা এখানে ক্যাম্প করছি। খান ইউনিসে আসার পরে ২০০ শিশুকে পেয়েছি যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। শিশুদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখছি। অভিভাবকরা আসতে না পারলে নিজেরাই তাদের বাড়িতে যাচ্ছি।’
এদিকে আইআরজিসির শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহতের ৫ম বার্ষিকী পালন করছে ইরান। এলিট কুদস ফোর্সের প্রধানকে ২০২০ সালের তেসরা জানুয়ারি ইরাকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। কাসেম সোলাইমানির স্মরণসভায় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই ক্ষত পূরণ হবার নয়। মানবাধিকারের কথা বললেও শীর্ষ জেনারেলকে হত্যার মাধ্যমে তা লঙ্ঘন করেছে পশ্চিমারা, এমনটাই দাবি মাসুদ পেজেশকিয়ানের।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘কাশেম সোলাইমানির শূন্যতা আমাদের প্রতি মুহূর্তেই ভোগাচ্ছে। তার হত্যাকাণ্ডই বলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও ইউরোপ মিথ্যা কথার জনক। তারা মানবতা ও মানবাধিকারের কথা প্রচার করে। বাস্তবে তারা মনুষ্যত্বহীন।’
স্বৈরশাসন পরবর্তী সিরিয়ায় আসাদ পন্থিদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা। মধ্যাঞ্চলীয় শহর হোমসে বাড়ি বাড়ি চালানো হচ্ছে তল্লাশি। দেয়া হয়েছে অস্ত্র জমাদানের নির্দেশনা। যদিও এইচটিএসের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরটির সাধারণ মানুষ।
সকাল থেকে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। অস্ত্র জমা দানের নির্দেশনা রয়েছে। তারা কারো ওপর নির্যাতন চালায়নি। অভিযান শেষ করে বের হয়ে যাচ্ছে।
আসাদপন্থি যোদ্ধাদের খোঁজা হচ্ছে। তাই আমাদের মধ্যে কোনো ভয় নেই। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সব ঠিক আছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো রিয়াদ সফরে গেছেন সিরিয়ার নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল শিবানি। এসময় দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বৈঠক করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও।