বিদেশে এখন
0

ইসরাইলের আগ্রাসনে গাজায় তিনদিনে ২০০ প্রাণহানি

গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ আগ্রাসনে গেল তিনদিনে প্রায় দুইশ’ বেসামরিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। গাজা শহরে ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলাকে ভূমিকম্পের সামিল বলছেন স্থানীয়রা। ধ্বংসস্তুপে প্রিয়জনের মৃতদেহ খুঁজছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। এদিকে আইডিএফের দাবি, গাজায় হামাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ঘাঁটি পেয়েছে তারা। জাতিসংঘ বলছে, এই উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। ইরান বলছে, ইসরাইলের বিষয়ে অন্ধ হয়ে গেছে পশ্চিমারা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) গাজা শহরে হঠাৎ করেই ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হতাহত হয়েছেন অনেকেই। ধ্বংসস্তুপে খুঁজছেন জীবিত প্রিয়জন না হয় নিহতদের মরদেহ।

যদিও ইসরাইলের দাবি, চলতি সপ্তাহের অপারেশনে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বেইত হানুন শহর থেকে হামাসকে উৎখাতে সফল হয়েছে তারা। তিন মাস ধরে চলছিলো এই অভিযান। এদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাসের কার্যক্রম চালানোর কার্যালয় খুঁজে পেয়েছে আইডিএফ। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে কমপ্লেক্সই হামাস সদস্যরা ব্যবহার করতো বলে দাবি আইডিএফের।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়ালো ইসরাইল। যদিও চলছে ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আলোচনার পাশাপাশি বন্দি বিনিময় আলোচনা। জাতিসংঘ বলছে, হাসপাতাল আশ্রয়কেন্দ্রসহ পুরো উপত্যকায় যে ধ্বংসযজ্ঞ ইসরাইল চালাচ্ছে, তা পুরোপুরি মানবিক বিপর্যয়ের সামিল। নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, পুরোপুরি ভেঙে পড়তে যাচ্ছে গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

এদিকে ইরান বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব আর যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি অন্ধ হয়ে গেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি বলেন, 'এই দায় সবার নেয়া উচিত। ইসরাইলের লক্ষ্য শুধু হামাস নির্মূল নয়, এই লক্ষ্য হলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী থাকতো তেল আবিব।'

যদিও হামাস ইসরাইল যুদ্ধবিরতি নিয়ে বরাবরই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তেহরান।

ইএ