বন্দিবিনিময়ে স্বস্তি, গাজা নিয়ে মিশরকে হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
নির্ধারিত সময়ে জিম্মি বিনিময় কার্যকরে হামাসের সম্মতিতে স্বস্তি ফিরেছে মধ্যপ্রাচ্যে। শনিবার ৬ষ্ঠ দফা বন্দিবিনিময়ে মুক্তি দেয়া হবে ৩ ইসরাইলিকে। তবে গাজাবাসীকে উপত্যকা থেকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে অটল ট্রাম্প প্রশাসন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানানোয় মিশরকে সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরাইলি বন্দিদের দ্রুত মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি শেষের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
শনিবারের মধ্যে সব ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির সমাপ্তি ঘটার ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাসের ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি না দেয়ার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। এতে নতুন করে গাজা উপত্যকা অস্থির হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ, ফিলিস্তিনে নিন্দার ঝড়
গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উপত্যকাটি ঢেলে সাজাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিসহ গোটা আরব বিশ্বে বইছে নিন্দার ঝড়। গাজাবাসীকে অন্য কোনো দেশে পাঠিয়ে বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে নেয়ার ইচ্ছাটি আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি এবং জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন বলে মনে করছেন অনেকে। তবে, ইসরাইলিরা ট্রাম্পের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানালেও, এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে তারাও।
মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা: যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ট্রাম্পের নতুন প্যারামিটার!
গাজা পুনর্গঠন নয় বরং যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনার প্যারামিটার নতুন করে নির্ধারণ করাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য বলে মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞরা। এমনকি, ইসরাইলি গণমাধ্যমের দাবি, গাজাবাসীকে অন্যত্র সরানোর বিষয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা কখনও বাস্তবায়িত হবে না। তবে, অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। আর মার্কিন বিশ্লেষকরা বলছেন, যা কেউ কখনও কল্পনা করতে পারে না, এমন সমাধানের পথ বাতলে দিয়ে সবসময়ই খবরের শিরোনাম হতে চান নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়েই যুদ্ধের অবসান চান গাজাবাসী
অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়েই যুদ্ধের অবসান চান গাজাবাসী। গাজায় আর কোনো বোমার শব্দ শুনতে চান না তারা। স্বজনদের মুখ দেখার অপেক্ষায় বন্দিরা। প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরাইলির বিনিময়ে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১ হাজার ৮৯০ জন ফিলিস্তিনি। ৪২ দিনের চুক্তিটি কার্যকর হচ্ছে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে। তবে চুক্তি লঙ্ঘনের আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে যুদ্ধবিরতিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার পুরস্কার হিসেবে দেখছে হিজবুল্লাহ।
‘পশ্চিমাদের দ্বারাই গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে’
বর্বর অভিযানের পর উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালটি পুড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এভাবে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা মানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সমান বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেছেন, পশ্চিমাদের দ্বারাই গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে।
বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেন না গাজাবাসী
ইসরাইলি আগ্রাসনে গভীর সংকটে ডুবে থাকলেও বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেন না গাজাবাসী। বোমার আঘাতে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী এক নারী। যা দেখে অনুপ্রাণিত যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীর বাসিন্দারা।
হামাস প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে সাবেক নেতা খালেদ মিশাল
হামাসের পরবর্তী প্রধান হবার দৌড়ে আছেন ৪ নেতা। তবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সাবেক নেতা খালেদ মিশাল। যদিও অবসর ভেঙ্গে কাতার থেকে মিশাল দলের হাল ধরবেন কী না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এদিকে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল গাজাবাসী।
ইসরাইলি আগ্রাসনের এক বছরে ধ্বংসস্তুপে পরিণত গাজা
ইসরাইলি আগ্রাসনের এক বছরে পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা। ৪ কোটি টন অবকাঠামো বর্জ্য থেকে ইট-পাথর তুলে নিহতদের জন্য কবর তৈরি করছেন গাজাবাসী। জাতিসংঘ বলছে, এই বর্জ্য পরিস্কার করতে প্রয়োজন পড়বে ১২০ কোটি ডলার। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই ধ্বংসস্তুপে অবিস্ফোরিত বোমার পাশাপাশি রয়েছে ১০ হাজার মানুষের লাশ।
গাজায় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর প্রাণহানি, ১১০ স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস
ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার শিশুদেরও যেমন প্রাণ যাচ্ছে তেমনি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে অনেক শিশু। এরই মধ্যে ১১০টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সময় অন্তত ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে যার মধ্যে ৪৫০ জনই স্কুল পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে গাজার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই ঈদ কেটেছে গাজাবাসীর
ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই ঈদ পালন করেছে গাজাবাসী। তাদের মাঝে নেই কোনো আনন্দের চিহ্ন। ঘরবাড়ি, অর্থ সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব ফিলিস্তিনিদের কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নেই। অনাহারে-অর্ধাহারে কেটেছে তাদের ঈদ। এমন করুণ চিত্র গাজার প্রায় প্রতিটি ঘরে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরবানির পশুর দাম আকাশচুম্বী
ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ঈদের একদিন আগেও বাজারে বাজারে ঘুরে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু, ছাগল, উট কিংবা দুম্বা কিনতে পারছেন না বহু মানুষ। চরম অর্থনৈতিক সংকটে ঈদের আনন্দ স্পর্শ করতে পারেনি যুদ্ধকবলিত ফিলিস্তিনিদের।