একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড পশ্চিম ইউরোপ। শীতকালীন ঝড় আয়ো-উইনের পর এবার হার্মেনিয়ার প্রভাবে ভারি বৃষ্টির কবলে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালি।
৪০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা দেখেছে ফ্রান্সের শহর রেনে। ঐতিহাসিক শহরটির অধিকাংশ স্থাপনাই এখন পানির নিচে। বন্যার পানিতে ভাসছে যানবাহন। তিনটি শহরে রেড অ্যালার্ট ও ৮টি শহরে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন।
কখনো বাসার ভেতর পানি প্রবেশ করতে দেখিনি। এবারের বন্যায় আমার গ্যারেজ তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি এখনো অনেক বেশি। সামনে কী হবে বলতে পারছি না।
ভিলাইন নদীর পানির স্তর ছাড়িয়েছে ২০০১ সালের রেকর্ড। একইসঙ্গে বাড়ছে রেডন নদীর পানি। তাই কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। ব্রিটেন উপকূলে বুধবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ইভো আঘাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হিসেবে মন্তব্য করেছেন পল্লী বিষয়কমন্ত্রী।
পল্লী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মিনিস্টার ফ্রাঙ্কোইস গ্যাটেল বলেন, ‘চলতি সপ্তাহ নাগাদ নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে। জনবহুল এলাকা হওয়ায় প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা আমরা অনেক বছর পর দেখছি। এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
এদিকে হার্মেনিয়ায় আঘাতের পর বন্যায় তলিয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের সমারসেট। ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ১৩০ কিলোমিটার গতির বাতাস। তাই বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। দেশটির ৩০টি অঞ্চল রয়েছে বন্যা সতর্কতার আওতায়। এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ২ হাজারের বেশি বাসিন্দা। লন্ডন ও কার্ডিফসহ দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চলে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।
এছাড়াও, ইতালির তুসকানি ও লিগুরিয়া অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। ভূমিধ্বসের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে বুসালা ও মিগনানেগো'র সংযোগকারী মহাসড়ক।