নিম্নাঞ্চল
শেরপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত শেরপুরের ঝিনাইগাতি। এতে জেলার ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে পানিতে। ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে মহারশী নদীর ৩টি স্থানে। শেরপুর জেলায় আজ (শুক্রবার,৪ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
আবারো ভেঙেছে সাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেড়িবাঁধ
সংস্কারের পর আবারো ভেঙেছে সাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেড়িবাঁধ। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সদর ও তালা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। সড়ক ও বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে শত শত মাছের ঘের। নষ্ট হয়েছে আমন ধান ও সবজি খেত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা স্থানীয়দের।
তিন দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবিগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ
ভোগান্তিতে কয়েক লাখ মানুষ
হবিগঞ্জে ৩ দফা বন্যায় বিভিন্ন সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পানি নেমে যাওয়ার পর স্পষ্ট সড়কের ক্ষতচিহ্ন। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০১ কোটি টাকা। আর এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ৭ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।
কক্সবাজারে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি, বাড়ছে জলাবদ্ধতা ও পাহাড় ধসের শঙ্কা
কক্সবাজার সদর উপজেলা ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জন নিহত হয়েছে। ভারী বর্ষণে রাত থেকে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর। এদিকে কক্সবাজারে অব্যাহত রয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। এতে নিম্নাঞ্চলে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
বন্যায় লক্ষ্মীপুরের মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে
তিন থেকে চার দিন আগেও অনেকটা স্বস্তিতে থাকা লক্ষ্মীপুরের মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সঙ্গীন হয় নিম্নাঞ্চলের অবস্থা। এদিকে, দুর্যোগের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ সরবরাহ, তাই দুর্দশা বাড়ছে বিপর্যস্ত মানুষের।
ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী। নিম্নাঞ্চল থেকে শহর পর্যন্ত ডুবছে বন্যার পানিতে। জেলার বেশিরভাগ এলাকা এখন বন্যা আক্রান্ত। জেলা শহরের সঙ্গে পুরোপুরি বন্ধ সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহও। বন্যায় এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুর্গতদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। টানা বৃষ্টি ও ঢলের জলে ডুবছে একের পর এক নিম্নাঞ্চল। বানভাসি মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ। এরই মধ্যে বন্যার কবলে পড়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা এবং ধুনোটসহ বেশকিছু এলাকা। একই অবস্থা কুড়িগ্রামেও বিরাজ করেছে। বন্যার পানিতে ডুবেছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসলের ক্ষেত।