মাত্র একদিন আগেই পশ্চিমা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আলোচনা হয় ইউক্রেনে সেনা অভিযানে বিষয়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ায় বাইডেনের সমালোচনা করার পাশাপাশি পুতিনকে এই যুদ্ধ দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানান। কিন্তু একদিন পরই ক্রেমলিন জানায়, এই সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন আর মন গড়া। ট্রাম্পের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি পুতিনের। পাশাপাশি ট্রাম্পের সঙ্গে আপাতত ফোনালাপের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানায় ক্রেমলিন।
এদিকে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বন্ধুত্ব আরও জোরদার করছে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে প্রতিরক্ষা চুক্তি। রুশ ও কোরিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, এই চুক্তির আওতায় আসছে কোনো রাষ্ট্র যদি যুদ্ধে জড়ানোর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়, আরেক রাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে সামরিক সহায়তা দেবে। এই অবস্থায় ইউক্রেনের হয়ে রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল কুরস্কে পৌঁছেছে রুশ আর উত্তর কোরিয়ার ৫০ হাজার সেনা। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেন সংলগ্ন ১ হাজার কিলোমিটার সীমান্তে রাশিয়া সেনা সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন প্রশাসনের পতনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা। মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান স্টাডি অব ওয়ার বলছে, ইউক্রেন কুরস্কে অনুপ্রবেশের আগে রাশিয়ার ১১ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল সেখানে। কিন্তু কুরস্কে সেনা সক্ষমতা বাড়াতে অন্য কোনো জায়গা থেকে রাশিয়াকে সেনা সরাতে হয়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের ৩ বছর হতে চললেও এখনও পর্যন্ত সামরিক সহায়তা নিয়ে ইউক্রেনকে ভাবতে হয়নি। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই যুদ্ধে ভবিষ্যত নিয়ে শুধু যে জেলেনস্কি প্রশাসন চিন্তিত, তা নয়, চিন্তিত যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো ইউরোপ। কংগ্রেস আর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন যেন ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে না নেয়, সেই আশ্বাস পেতে বাইডেন সময় পাবেন ৭০ দিন। যদিও কংগ্রেসে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ট্রাম্পের এজেন্ডা বাস্তবায়ন সহজ হবে। সেক্ষেত্রে অন্ধকারে পড়বে জেলেনস্কি প্রশাসনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টি। অন্যদিকে, রাশিয়া এগিয়ে যাবে দুর্দান্ত গতিতে।