যুদ্ধ , ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের

ইরানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করেছে রাশিয়া। তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে মস্কো। এদিকে, ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তার দেয়ার অভিযোগ তুলেছে ইউরোপ। এর জেরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইরানকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। যদিও, মস্কোকে অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।

পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে অনেকটা একাই লড়ে যাচ্ছে রাশিয়া। বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে, গাজায় চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিতেও তারা টলছে না বিন্দু পরিমাণ।

এবার মস্কো-তেহরান কৌশলগত সম্পর্ককে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলো ক্রেমলিন। ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মর্যাদা দেয়ার কথাও জানায় রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে মস্কো। স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংলাপ অব্যাহত আছে।

দিমিত্রি পেসকোভ বরেন, 'ইরান আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছি। উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে আমরা সব ধরনের আলোচনা অব্যাহত রাখবো।'

রাশিয়ার এই ঘোষণা এমন এক সময়ে আসলো, যখন পশ্চিমা গণমাধ্যম ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ এনেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, মস্কোকে ইরানের অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। গেল শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমন খবর প্রকাশ করা হয়। এরই জেরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইইউ।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে সখ্যতা বাড়ায় ইরানকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানায়, অস্ত্র সরবরাহের ঘটনা সত্য হলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে। যদিও , এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য পাননি বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, 'রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের কী ধরনের চুক্তি হয়েছে সেটি পুরোপুরি জানার পর মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানের অবস্থা কেমন হবে তা বলা কঠিন। ইতোমধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি উন্নতি করেছে ইরান। আর আমাদের ধারণা, রাশিয়া কোনো লাভ ছাড়া কারও সঙ্গে অংশীদারিত্ব চায় না।'

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এক পক্ষের কাছে অস্ত্র রপ্তানির প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে, অনেকটা কৌশলী পথে হেঁটেছে ক্রেমলিন। অভিযোগটি জোরালোভাবে অস্বীকার করেনি তারা। তাদের বক্তব্য, এ ধরনের তথ্য সবসময় সত্য হয় না।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর