এশিয়া
বিদেশে এখন
0

নতুন হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া

মাঝারি পাল্লার নতুন হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালানোর কথা স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। শব্দের চেয়ে ১২ গুণ দ্রুতগতিতে ছোটা মিসাইলটির ইঞ্জিনে কার্বন ফাইবার কম্পোজিট ব্যবহারের দাবিও করেছে পিয়ইয়ং। উত্তর কোরিয়ার এমন কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, পিয়ংইয়ংকে স্পেস ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সরবরাহ করছে মস্কো।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের বাকি আর মাত্র ১২ দিন। এর আগেই নতুন মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।

সোমবার পিয়ংইয়ংয়ের উপকণ্ঠ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় নতুন মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। শব্দের চেয়ে ১২ গুণ গতিতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার পর মিসাইলটি পূর্ব উপকূলে পতিত হয়।

দেশটির বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, নতুন মিসাইলের ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার কম্পোজিট। অ্যালুমিনিয়ামের চেয়েও হালকা ও শক্তিশালী হওয়ায় শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে এটি কার্যকরী।

উত্তর কোরিয়ার এমন কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অভিযোগ করেন, কিম জং উন প্রশাসনকে স্পেস ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সরবরাহ করছে পুতিন সরকার। তবে পিয়ংইয়ংয়ের অর্জনকে অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেছে সিউল। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলেও সেকেন্ড পিক অর্জন করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমাদের ধারণা, মস্কো পিয়ংইয়ংকে অত্যাধুনিক স্পেস ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। পুতিন তার দশক পুরোনো নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিকে মেনে নিচ্ছেন। আমরা মিসাইল উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের নিন্দা জানাচ্ছি। এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাবের সরাসরি লঙ্ঘন।’

নতুন মিসাইলটি জাপানের সমুদ্র সীমার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে পতিত হয়েছে। তাই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে টোকিও। মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেন নাকাতানি বলেন, ‘নিয়মিত বিরতিতে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষা আমাদের দেশের জনগণের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এমন কাজ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

দীর্ঘদিন ধরে সলিড ফুয়েল মিসাইল উন্নয়নে কাজ করছে উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুর্লভ প্রযুক্তি ব্যবহার করায় নতুন মিসাইলটি প্রতিবেশীদের জন্য উদ্বেগজনক।

এএইচ