আন্দোলনের ৩৩তম দিনে এসেও দাবিতে অনড় কলকাতার জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট গড়িয়েছে চতুর্থ দিনে। বসানো হয়েছে ফুড ক্যাম্পও।
ডাক্তারদের এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন রাজপথে থাকবেন, তবু আন্দোলন বন্ধ হবেনা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তার ফোরাম।
রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর অচলাবস্থা এড়াতে রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর কাছে চিঠিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ৫ দফা দাবি নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সাথে বৈঠক করতে সম্মত হয় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল। বৈঠকটি সরাসরি সম্প্রচারের দাবি জানালেও সে শর্তে রাজি হয়নি রাজ্য সরকার।
২ ঘণ্টার স্নায়ুযুদ্ধ শেষে বৈঠক না করে সংবাদ সম্মেলন করেন মমতা। মানুষ চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন, এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্যও করে বসেন তিনি।
যদিও, এতে হিতে বিপরীত হয়েছে। রাজপথ ছাড়ার বদলে আরও জোরদার কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আর, মমতার এমন বক্তব্য হাস্যকর বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘নিজের ছায়াকে বিশ্বাস করে না, সে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করবে। ইমেজ বিল্ড আপের জন্য নিজে লাইভ স্ট্রিম করে, মিটিং করে। কিন্তু এখন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে লাইভি স্ট্রিম করে মিটিং করতে আপত্তিটা কোথায় ওনার?’
আরেক নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘হঠাৎ তার মনে হয়েছে, হঠাৎ তিনি বলেছেন, জনগণের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রী যেমন দিন গুনছেন, ৩২ দিন, ৩৩ দিন, ৩৪ দিন, আমরাও আজকে থেকে দিন গুনবো।’
এর আগে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে মমতা বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে।
প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারীরা বলছেন, যেখানে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ৯০ হাজার চিকিৎসক কাজ করছেন সেখানে ৭ হাজার জুনিয়র ডাক্তার কর্ম বিরতিতে গেলে যদি স্বাস্থ্য সংকট তৈরি হয়, বুঝতে হবে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আগে থেকেই ভঙ্গুর ছিল।
অন্যদিকে আর জি কর ইস্যুতে শুরু হওয়া তদন্তে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছেন মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার, সন্দীপ ঘোষের আত্মীয়ের ফ্ল্যাট থেকে মিলল পরীক্ষার উত্তরপত্রের কপি। এরআগে, অধ্যক্ষের বাড়ি থেকে একাধিক জমি ও বাড়ির দলিল উদ্ধার করে ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা, ইডি।