অভিবাসন ও অর্থনৈতিক নানা সিদ্ধান্তে জট পাকিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন গেল কয়েক মাস ধরেই। ঘরে-বাইরে সবখানেই ছিল চাপ। অবশেষে সেই চাপের কাছেই নতিস্বীকার করে সরে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। একই সঙ্গে লিবারেল পার্টির প্রধানের দায়িত্ব থেকেও সরে আসতে হলো।
এক সময় ছিলেন তুমুল জনপ্রিয় নেতা। সময়ের পরিবর্তনে সেই ট্রুডোই যে মেয়াদ শেষের সুযোগই পাবেন না; সে দিনও দেখতে হলো। আগামী বুধবার সর্বদলীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগেই তিনি পদত্যাগ করলেন।
লিবারেল পার্টি অব কানাডার প্রধান হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করেন ট্রুডো। এরপর ২০১৫ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। টানা ৯ বছর ধরে তিনি এ পদে ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতিসহ নানা চাপে পড়েন ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডো।
গত বছরের ডিসেম্বরে কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেন। ট্রুডোর সঙ্গে বিরোধের জেরেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। একসময় ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। তার চলে যাওয়াতে ট্রুডোর সংকট আরও বেড়ে যায়।
এ অবস্থায় হতে পারে আগাম নির্বাচন। নিয়ম অনুযায়ী ২৫ সালের অক্টোবরে হওয়ার কথা ছিল নির্বাচন।