চীনে ট্যাংকারে পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট পণ্যের কোনো তালিকা নেই। তাই ট্যাংকারগুলোতে জ্বালানি তেল পরিবহনের পর তাতে সরাসরি খাদ্য পরিবহনে বাধা নেই। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, বিষাক্ত রাসায়নিক বহনের পর ট্যাংকারগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার না করেই এতে রাখা হচ্ছে রান্নার তেল। দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম বেইজিং নিউজের এমন প্রতিবেদনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সংবাদমাধ্যমটির অভিযোগ, দূষিত জ্বালানির ট্যাংকারগুলোতে ভোজ্যতেল পরিবহন খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনে। ভোজ্যতেলের এই দূষণ কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে এসেছে চীনের বড় বড় কোম্পানির। এরমধ্যে আছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সিনোগ্রেইন এবং হোপফুল গ্রেইন অ্যান্ড অয়েল গ্রুপের নাম। যা চীন সরকারের খাদ্য নিরাপত্তার মান বজায় রাখার সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তেল নিয়ে এই বিতর্ক শীর্ষে উঠে এসেছে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ট্রেন্ডিংয়ে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে এখন শঙ্কায় জনগণ। অনেকে এই ঘটনাকে ২০০৮ সালের সানলু গুঁড়োদুধ কেলেঙ্কারির সঙ্গে তুলনা করেছেন। উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক মেলামাইন মিশ্রিত দূষিত গুঁড়োদুধ পান করে মারা গিয়েছিল ৬ জন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছিল প্রায় তিন লাখ শিশু। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে চীনের সাধারণ মানুষ।
চীনা সরকার বলেছে, অভিযোগ তদন্ত করে অবিলম্বে ফলাফল সবার সামনে তুলে ধরা হবে। যারা নিয়ম ভেঙেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাসও দেয় সরকার। এছাড়া যেসব কোম্পানির নাম এসেছে তারাও নিজ উদ্যোগে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।