হামাসের হামলার তদন্তের দাবিতে উত্তাল তেলআবিব

তেলআবিবে বিক্ষোভ
তেলআবিবে বিক্ষোভ | ছবি: সংগৃহীত
0

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে উত্তাল তেলআবিব। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নানাভাবে নিজেদের ব্যর্থতা এড়ানোর চেষ্টা করছে নেতানিয়াহু সরকার। কিন্তু এই তদন্তে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছে ইসরাইলের বর্তমান প্রশাসন। এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতানিয়াহু।

গেল অক্টোবরে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। কিন্তু ভোগান্তি কমেনি গাজাবাসীর। ত্রাণ-স্বাস্থ্যসেবার সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে তীব্র শীত আর ভারি বৃষ্টির তাণ্ডব। শনিবার অতিবৃষ্টির পর অস্থায়ী শিবিরে পানি ঢুকে মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়েছেন তারা। তাঁবু তৈরির পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় কীভাবে কাটাবেন এই তীব্র শীতের রাত- এর উত্তর জানা নেই তাদের।

আরও পড়ুন:

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এই যুদ্ধবিরতি যে নামমাত্র কার্যকর আছে তার চিত্র দেখা যাচ্ছে হাসপাতালগুলোতে। শুক্রবার থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত সেখানে জমা হয়েছে ২৯ জনের মরদেহ। যা চাপা পড়েছিল ধ্বংসস্তূপে।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতানিয়াহু। আলোচনা হবে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয়ধাপ কার্যকর প্রসঙ্গে।

যদিও নিজ দেশে এবার ভিন্ন কারণে চাপের মুখে পড়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর চালানো হামলা নিয়ে একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের অনুমতি দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানায় হামাস। ৪২ পৃষ্ঠার একটি নথিতে ৭ অক্টোবরের ঘটনার বিষয়ে নিজেদের ব্যাখ্যাও তুলে ধরেছে তারা।

কিন্তু নেতানিয়াহু চান সরকারের তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত হোক। যা মানতে নারাজ খোদ ইসরাইলিরাই। এই ইস্যুতে শনিবার তেলআবিবে তীব্র প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন তারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরো ঘটনায় নেতানিয়াহু প্রশাসনের দায় ছিল কী না, কিংবা এই হামলা প্রতিহত করার কোনো সুযোগ ছিল কী না- তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রশ্ন পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।

২০২৩ এর ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলার সুষ্ঠু তদন্ত হলে প্রকৃত অপরাধীরাই সামনে আসবে। এক্ষেত্রে নেতানিয়াহু প্রশাসনের এমন আচরণ নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে এই হামলার পেছনে কাদের উসকানী ছিল, হামলার সময় ইসরাইলি সেনাদের ভূমিকা এসব নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

ইএ