সিরিয়ায় আইএসের হামলায় মার্কিন সেনা নিহতে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: রয়টার্স
0

সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনাসহ তিনজন নিহত এবং তিনজন আহতের ঘটনায় প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া হতাহত এবং তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরইমধ্যে পাল্টা হামলায় সন্দেহভাজন হামলাকারীকে হত্যার দাবি পেন্টাগনের।

সিরিয়ায় মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরাতে গতকাল স্থানীয় সময় (শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে মার্কিন ও সিরিয় বাহিনীর একটি কনভয়। এতে প্রাণ যায় দুই মার্কিন সেনা এবং একজন দোভাষী মার্কিন বেসামরিক নাগরিকের। আহত হয়েছেন আরও তিন মার্কিন সেনা। এ ঘটনার জন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র।

সন্দেহভাজন হামলাকারী সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে ওই ব্যক্তি নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ ছিলেন না বলে জানিয়েছে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে হত্যার কথাও নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে মার্কিনরা হামলার শিকার হলে এভাবেই কঠোর জবাব দেয়া হবে বলে কড়া বার্তাও দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।

গত বছর বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় এটিই মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা ও হতাহতের ঘটনা। ঘটনাস্থলটিতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিয়ন্ত্রণ নেই বলেও তথ্য তুলে ধরেছে পেন্টাগন। একে যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ উল্লেখ করে আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়ায় আমাদের তিনজন দেশপ্রেমিককে হারানোয় আমরা শোকাহত। আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এটি ভয়াবহ ঘটনা। সিরিয়াও আমাদের সঙ্গে লড়াই করছিলো যা ঘটেছে তার জন্য সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টও বিধ্বস্ত। এটি শুধু আমাদের ওপর না, সিরিয়ার ওপরও আইএসের আক্রমণ। হামলায় নিহতের প্রতি শোক প্রকাশ করছি। পাশাপাশি বাবা-মা প্রিয়জনদের প্রতি শোক প্রকাশ করছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর জন্য আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব।’

২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হওয়ার পরও মাঝে মাঝেই বেশ কিছু অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তার অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ১৪ বছরের ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধের পর পুনর্গঠন এবং পুনরুদ্ধারের চেষ্টাকালে কঠোর নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে আহমেদ আল-শারা প্রশাসন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়াচ্ছে ঘনিষ্ঠতা। চলতি বছরই সৌদি আরবে সাক্ষাতের পর গত মাসে হোয়াইট হাউজে গিয়েও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।

এফএস