গেল ১৫ মার্চ দুপুর ২টায় ইয়েমেনি হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে রাজধানী সানায় বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হামলার দুই ঘণ্টা আগেই সেই তথ্য পৌঁছে যায় মার্কিন ম্যাগাজিন আটলান্টিক এর সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গের হাতে। আর এই কাজটি কীভাবে ঘটলো তা নিয়েই তোলপাড় মার্কিন মুলুক।
কোনো অনুসন্ধানের মাধ্যমে এ তথ্য জানতে হয়নি ঐ সাংবাদিককে। বরং মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারাই তার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ইয়েমেন নিয়ে মার্কিন যুদ্ধের রূপরেখা।
আটলান্টিক ম্যাগাজিনের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গ বলেন, ‘ইয়েমেনে হামলার দুই ঘণ্টা আগেই আমি জানতে পারি। কারণ প্রতিরক্ষা বিভাগের সেক্রেটারি মেসেজ পাঠিয়েছেন গ্রুপে। সেই সঙ্গে ইয়েমেনের যুদ্ধে হোয়াইট হাউসের পরিকল্পনা, লক্ষ্য, অস্ত্র প্যাকেজ ও সময়ের বিস্তারিত জানানো হয় সেখানে।’
আসলে ভুলবশত মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের চ্যাটিং গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান আটলান্টিক ম্যাগাজিনের সাংবাদিক। এমনটাই দাবি হোয়াইট হাউসের। যেখানে রয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও।
মার্কিন ঐ সাংবাদিক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের কাছ থেকে ইনভাইটেশন পেয়ে সেখানে যুক্ত হন তিনি। এরপরই দেখতে পান ইয়েমেন নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কথোপকথন। সেখান থেকেই আসলে ইয়েমেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ পরিকল্পনা তার কাছে পৌঁছায়। তবে এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্নের সম্মুখীন হলে উত্তেজিত হয়ে যান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘কুখ্যাত ঐ সাংবাদিকের কথা বলছেন? যে একাধিকবার ভুয়া খবর বিক্রি করে তার পেশা চালাচ্ছে। রাশিয়া ও অন্যান্য ইস্যুতে ফালতু কথাবার্তা বলছেন তিনি।’
তবে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর যাই বলুক না কেন, এ ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইন প্রণেতারাও।
মার্কিন আইন প্রণেতা ক্রিস দেলুজিওর বলেন, ‘এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। দোষীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এ ঘটনার দ্রুত সঠিক তদন্ত হতে হবে। আদালতের মুখোমুখি হতে হবে অপরাধীদের।’
অবশ্য এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি এ বিষয়ে বোধগম্য নন বলে কৌশলে এড়িয়ে যান।