আজই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন ট্রুডো

0

বিশ্বের এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নেতা, জাস্টিন ট্রুডোকে আজই (রোববার, ৯ মার্চ) ছাড়তে হচ্ছে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ। ঘোষণা অনুযায়ী লিবারেল পার্টির কনভেনশনে নতুন নেতার কাছে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি। এর মাধ্যমে প্রায় এক দশকের শাসনের অবসান হচ্ছে তার। নতুন দায়িত্বে এগিয়ে সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি। তার সামনে চ্যালেঞ্জ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ইস্যু।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেন জাস্টিন ট্রুডো। তখন থেকেই সারা পৃথিবীতে আলোড়ন তৈরি করেন ক্যারিশমাটিক লিডার হিসেবে। একজন সরকার প্রধান নিজ দেশের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে তুমুল জনপ্রিয় হতে পারেন, তার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেন ট্রুডো।

২০১৫ সালের পর ২০১৯ ও ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি। গেল প্রায় এক দশকে নানা সমস্যা মোকাবিলা করে কানাডাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন নানাভাবে। তবে কোভিডকাল, রাশিয়া-ইক্রেন যুদ্ধের মতো ধকল সামলাতে হয়েছে তাকে। এতে অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়ে ন্যাটোর সহযোগী দেশ কানাডা।

জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, দেখা দেয় আবাসন সংকট। যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থী আর অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ায় বিপদের পারদ আরও বাড়ে। এতে নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েন ট্রুডো। পরে তার রাজনৈতিক দল লিবারেল পার্টি থেকেও চাপ বাড়ায়, জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

লিবারেল পার্টির কনভেনশনে পার্টি বেছে নেবে নতুন নেতা। নিয়ম অনুযায়ী তিনি হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বছরের শেষ দিকে হবে নির্বাচন। বিদায় বেলায়, এক বক্তব্যে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডো। কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলেন, সবসময় মানুষের জন্যই কাজ করতে চেয়েছেন তিনি।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি দিন আমি আমার কাজে 'কানাডা প্রথম' নীতিতে এগিয়েছি। তাই জনসমর্থন পেয়েছি। শেষদিন পর্যন্ত আমি কানাডিয়ানদের ছোট হতে দেবো না। শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রদেশ ও আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করেছি। যেন প্রতিটি পরিবার আমাদের ভরসা করে।’

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় এগিয়ে ৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি। তিনি ছিলেন ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সামনে বড় অ্যাসাইনমেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২৫ শতাংশের শুল্ক লড়াই হ্রাস করে অর্থনৈতিক ভারসাম্য আনা। ইতোমধ্যে শুল্ক স্থগিত আছে এপ্রিল পর্যন্ত।

কিন্তু ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার ঘোষণা আর সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী ও মাদক পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সম্পর্কে এখন ভাটার টান।

ইএ