বিদেশে এখন
0

দুর্গন্ধ ছড়ানো কর্পস ফ্লাওয়ার দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়!

পচাগলা মৃতদেহ থেকে যেমন গন্ধ আসে, তেমনই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে দৈত্যাকৃতির এক ফুল থেকে। সুঘ্রাণের পরিবর্তে দুর্গন্ধ ছড়ানো সে ফুল দেখতে ছুটে আসছে হাজার হাজার দর্শনার্থী। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বোটানিক গার্ডেনে প্রথমবার ফুটেছে ‘কর্পস ফ্লাওয়ার’ বা ‘মৃতদেহের ফুল’।

বৈজ্ঞানিক নাম ‘আমোরফেফ্যালাস গিগাস’। কর্পস ফ্লাওয়ার হিসেবে পরিচিত সাধারণের কাছে। কর্পস, যারা বাংলা অর্থ মৃতদেহ। ফুলের ঘ্রাণ সুবাসের বদলে মৃতদেহের কথা মনে করিয়ে দেয় বলেই এটি পরিচিত কর্পস ফ্লাওয়ার নামে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বোটানিক গার্ডেনে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে প্রথম ফুটেছে কর্পস ফ্লাওয়ার। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় যার আদিবাস। যখন ফোটে, তখন সুবাসের বদলে উৎকট গন্ধ ছড়ানোর জন্য বিখ্যাত ফুলটি। পরাগায়নের প্রয়োজনে প্রতি দুই থেকে ১০ বছরে একবার ফোটে এ ফুল, তাও মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য।

ব্রুকলিন বোটানিক গার্ডেনের পরিচালক কেট ফারমোইল বলেন, ‘পরাগ রেণু আকর্ষণে গাছটি এই গন্ধ ছড়ায়। সবচেয়ে বেশি যে পরাগ রেণু চায় এ উদ্ভিদ, সেটিকে আকর্ষণে এ চেষ্টা। ক্যারিয়ন বিটলস নামে এক ধরনের ছোট পোকা এই পচা গন্ধে আকৃষ্ট হয়। তাই মল, পচা ডিম, নষ্ট পনিরের মতো গন্ধ ছড়ায় এটি।’

সাত বছর ধরে ব্রুকলিন বোটানিক গার্ডেনে শেকড় মেলছে গাছটি। দীর্ঘ এ সময়ে এবারই প্রথম ফুটলো ফুলটি। এটি দেখতে দলে দলে উদ্যানে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর পুরো বাগান।

দর্শনার্থীদের একজন বলেন, ‘অনেক ধরনের গন্ধ একসাথে মেলে। কিছু নষ্ট পনির, মল, মাঝে মাঝে একটু ঘামের গন্ধও পেয়েছি। এখন মনে হচ্ছে ঘামে ভেজা মোজা, পায়ের গন্ধ পাচ্ছি।’

আরেকজন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে যে গন্ধটা এমন, যেন কিছু জন্ম নিচ্ছে মাটিতে। পচা গন্ধ তো আমিও পাচ্ছি, নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবারের মতোই গন্ধটা।’

বছরের অন্যতম শীতল দিন পার করছে নিউইয়র্ক। অন্যান্য বছর সময়ে ব্রুকলিন বোটানিক গার্ডেন প্রায় ফাঁকা পড়ে থাকে। শীতের চলতি মৌসুমও ব্যতিক্রম নয়। দুর্গন্ধ ছড়ালেও একদিনের জন্য ফোটা ফুলটি দেখতে বাগানে ভিড় করেন স্বাভাবিকের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি দর্শনার্থী।

ইএ