'ট্রাম্প মাস্ট গো নাউ' স্লোগানে কাঁপছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবিতে এভাবেই হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ।
অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত, গাজায় যুদ্ধে ইসরাইলকে রসদ পাঠানোসহ ২ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মার্কিনরা। রোববার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভের মাধ্যমে তারই বহিঃপ্রকাশ করেন তারা। গণতন্ত্রের নামে ট্রাম্প ফ্যাসিজম করছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমি একজন প্রবীণ সৈনিক। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছি। ট্রাম্প দেশটাকে এভাবে ধ্বংস করবে, মানতে পারছি না।'
অন্য একজন বলেন, 'মানবতার নামে ট্রাম্প ফ্যাসিজম করছে। ফ্যাসিস্ট ট্রাম্পকে পদত্যাগ করতে হবে।'
ট্রাম্প প্রশাসনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে নিউইয়র্কবাসীও। শনিবার নিউইয়র্ক শহরে শত শত মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন। পরে ম্যানহাটনের রাজপথে মার্চ করেন বিক্ষোভকারীরা। সেসময় বৈধ অভিবাসীদের ট্রাম্প জোর করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তারা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, 'সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বাড়ছে। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হিসেব ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে।'
অন্য একজন বলেন, 'গোটা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এক হচ্ছে। আমিও বিক্ষোভে অংশ নিতে এসেছি। অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন ঠেকাতে মূলত বিক্ষোভ। ট্রাম্প বৈধ অভিবাসীদের জোর করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করছে।'
ট্রাম্প বিরোধী 'হ্যান্ডস অফ' বিক্ষোভ হয়েছে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরেও। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজারও মানুষ অংশ নেন ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করছে। যা বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে বাক স্বাধীনতার চর্চা করতে চাই।'
অন্য একজন বলেন, 'ট্রাম্প ও তার দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের বারোটা বাজাচ্ছে।'
গত এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে হ্যান্ডস অফের ব্যানারে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে ৫০ টি বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়।
