দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি বাড়ির ভেতরের দৃশ্য। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির ভেতর অভিযান চালাতে আসে ইসরাইলি সেনারা।
কিন্তু আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। পৃথিবীর অন্যতম চৌকস এই সেনাদের ধারণা ছিল না খান ইউনিসের এই ঘরে ফাঁদ পেতে রেখেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা।
ইসরাইলি সেনাদের বডি ক্যাম ভিডিওতে ধরা পরে হামাসের পাল্টা আঘাতের চিত্র। প্রাণ বাঁচাতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নিচে নেমে যেতে বাধ্য হন ইসরাইলি সেনা সদস্যরা। হামাস যোদ্ধাদের তোপের মুখে আহত সেনাকে সরিয়ে কোনোমতে ঐ কক্ষ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও, অ্যাম্বুশ স্টাইল হামলায় খেই হারিয়ে ফেলে দখলদার বাহিনী।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ করে মিডল ইস্ট স্পেক্টেটর নামের একটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ সংস্থা। ইরান এবং এর অক্ষশক্তি নিয়ে কাজ করা এই সংস্থাটির টেলিগ্রাম চ্যানেলে সর্বসাধারণের জন্য আপলোড করা হয় ইসরাইলি সেনাদের ওই বডিক্যাম ভিডিও। যদিও ভিডিওটি কবে ধারণ করা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি।
মিডল ইস্ট স্পেক্টেটর আরও নিশ্চিত করেছে, হামাস যখন ইসরাইলি জিম্মি ওমরি মিরানের ভিডিও প্রকাশ করে, ঠিক ঐ সময়েই এই বডিক্যাম ভিডিওটি তাদের নজরে আসে।
গেল ১৮ মার্চ অস্ত্রবিরতি অমান্য করে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী গাজায় আবারও অভিযান শুরুর পর পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে হামাস। তেল আবিবে রকেট হামলা ছাড়াও কয়েক দফায় স্থলভাগে ইসরাইলি সেনাদের সাথে টক্কর দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের যোদ্ধারা। উত্তর গাজায় নেতানিয়াহু বাহিনীকে শায়েস্তা করতে অভিযান বাড়িয়েছে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড। ১৯ এপ্রিল বেইত হানাউনে হামাসের হামলায় প্রাণ গেছে এক ইসরাইলি সেনার। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন।
টাইমস অব ইসরাইল নিশ্চিত করেছে মার্চে অস্ত্রবিরতি ভঙ্গের পর এই প্রথম হামাসের হাতে ইসরাইলি এক সেনা নিহত হলেন। তেহরান টাইমসের দাবি, স্থলভাগে ইসরাইলি বাহিনীর সাথে মুখোমুখি সংঘাতে না জড়িয়ে, সুরঙ্গ পথ ব্যবহার করে অ্যাম্বুশের মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে মোকাবিলা করছে হামাস। হামাসের পাতা এই ফাঁদ সম্পর্কে কোনো তথ্য না থাকায় রীতিমতো নাজেহাল স্থল অভিযানের দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি সেনাসদস্যরা।