ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার দু'দিনের মাথায় ফের উত্তেজনা সীমান্তে। প্রতিবেশী পাকিস্তানের দিক থেকে আগে গুলি শুরু করার পর পাল্টা জবাব দেয়ার দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনীর।
জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বৃহস্পতিবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আহ্বানে রাজধানীতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। সম্প্রতি বিতর্কিত ওয়াকফ আইনকে ঘিরে তোপের মুখে থাকা বিজেপি সরকারকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণে সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানায় সংখ্যালঘু মুসলিমসহ দেশের সব বিরোধী দল।
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বরেন, ‘সবাই সর্বসম্মতভাবে হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের যেকোনো পদক্ষেপে বিরোধী দলেরও সমর্থন আছে।’
ভারতের এআইএমআইএম প্রধান ও লোকসভা সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, যে দেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে, সাহায্য করছে- তাদের বিরুদ্ধে সরকার যা ভালো মনে করবে, সে ব্যবস্থাই নিতে পারে।’
কাশ্মীর ইস্যুতে সাম্প্রতিক উত্তেজনা উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কায় পরিস্থিতির অবনতি এড়াতে সর্বোচ্চ সহনশীলতা চর্চার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস সেক্রেটারি ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও স্পষ্ট জানিয়েছেন যে ভারতের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। এই ঘৃণ্য অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। এট খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি। বুঝতেই পারছেন যে আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে আমরা এখন কোনো অবস্থান নিচ্ছি না।’
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজাররিচ বলেন, ‘গভীর উদ্বেগ নিয়ে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। দু'দিন আগে ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার স্পষ্ট নিন্দা জানিয়েছি আমরা। বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণ গেছে হামলায়। পাকিস্তান ও ভারত- উভয় দেশের সরকারের প্রতি সর্বোচ্চ সহনশীলতা চর্চার এবং পরিস্থিতির যেন আরও অবনতি না ঘটে, তা নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
মঙ্গলবারের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। বান্দিপোরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধ চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।