বিদেশে এখন
0

মালয়েশিয়ায় ৫-৭ মাসের বেতন না পেয়েই ছাঁটাইয়ের শিকার বাংলাদেশি কর্মীরা

মালয়েশিয়ায় পাঁচ থেকে সাত মাসের বেতন না পেয়েই ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন আড়াই শতাধিক বিদেশি কর্মী, যার সিংহভাগই বাংলাদেশি। বকেয়া বেতনের পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগামী বছরের নভেম্বরের মধ্যে বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি এলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। হাইকমিশন থেকে যথাযথ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। যদিও সমস্যা সমাধানে কাজ করার কথা জানিয়েছেন হাইকমিশনার।

বাংলাদেশি কর্মীদের নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম আদায় ও শোষণ মালয়েশিয়া ভূখণ্ডে ঘটছে নিয়মিত। আর এসব বেআইনি কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে কাওয়াগুচি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। নতুন পুরোনো মিলিয়ে দুই শতাধিক বাংলাদেশির প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেতন আটকে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি নবায়ন করা হয়নি অনেক কর্মীর ভিসা।

বেতন পরিশোধের দাবিতে কয়েক দফা ধর্মঘট করেন কাওয়াগুচির কর্মীরা। এক পর্যায়ে সকল কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে প্রতিষ্ঠানটি। এখনো ৫ থেকে ৭ মাসের বেতন পাবার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগে এ বিষয়ে শুনানিতে সিদ্ধান্ত আসে, জানুয়ারিতে ১ হাজার ও এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি কর্মীকে ১ হাজার রিঙ্গিত পরিশোধ করা হবে, বাকি অর্থ দিতে হবে নভেম্বরের মধ্যে। এসময়ের মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শ্রম বিভাগ। যদিও এমন সিদ্ধান্তে নির্ভার হতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা ।

ভুক্তভোগী প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘আমাদের নতুন ও পুরাতনদের ৫ মাসের স্যালারি আটকে দিয়েছে।’

আরেকজন বলেন, ‘এই সময়ে আমাদের পরিবার নিয়ে চলাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

ভুক্তভোগী প্রবাসীদের অভিযোগ, সার্বিক বিষয় জানার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি হাইকমিশন। যদিও মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান জানান, দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়া এসে ঋণের জালে আটকে যাচ্ছেন অনেকে। জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা দিকে চেয়ে আছেন ভাগ্যহত কর্মহীন প্রবাসীরা।

ইএ