বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে নিরাপদ শহরের খেতাবও ধরে রেখেছে আবুধাবি; যা এখানকার নাগরিক, বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জীবনযাত্রাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।
দেশটির রাজধানী হওয়ায় অন্য সব শহরের চেয়ে একেবারেই আলাদা আবুধাবি। বহু ভাষাভাষী নাগরিকের বসবাসের কারণে আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক ব্যবসা পরিচালিত হয় এখানে।
শহরটি ঘিরে বাংলাদেশিরাও গড়ে তুলেছেন ছোট-বড় নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে অন্যতম রেস্তোরাঁ, সুপার শপ, গ্রোসারি, সেলুন, টেইলার্স, লন্ড্রি, ট্রাভেল এজেন্সিসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কেউ কেউ জড়িয়ে আছেন ফল ও সবজি ব্যবসায়।
একসময় নির্মাণ শ্রমিক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পেশায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি থাকলেও সময়ের পরিবর্তনে শহরটিতে মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে চাকরির হারও বেড়েছে বাংলাদেশিদের।
নিরাপদ বিনিয়োগ ও উন্নত জীবনযাত্রার কারণে আবার কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে ব্যবসায়ী হচ্ছেন। স্বল্প সময়ে সফলতাও পেয়েছেন অনেকে।
আবুধাবির লুলু গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ম্যানেজার নূর মোহাম্মাদ বলেন, ‘নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বাংলাদেশিরা অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে কর্মীরা ঘরে ফেরেন ক্লান্ত শরীরে। অন্যদিকে ক্লান্তি দূর করার রসদ নিয়ে হাজির হয় সন্ধ্যার আলোক সজ্জায় সজ্জিত রঙিন এই শহর। যে কারণে শহরের বুকে ব্যবসায়িক লেনদেন চলতে থাকে মধ্যরাতেও।
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারি অনুমতি নিয়ে রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখে। কোনটি খোলা থাকছে ২৪ ঘণ্টা। মধ্যরাতেও এসব প্রতিষ্ঠানে দেশিয় পণ্য কিনতে হাজির হন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘প্রচুর পরিমাণে এখানে বাংলাদেশি কাস্টমার এখানে আসে। এমনকি বিদেশি কাস্টমারও এখানে আসে।’
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক টানতেও পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে এই শহর। একপাশে সৈকত অন্যপাশে ছোট বড় উদ্যান। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে বিনোদনের এই আয়োজন ভারসাম্য ধরে রাখছে শহরের বুকে বসবাস করা নাগরিকদের জীবনযাত্রার।
একদিকে প্রতিদিনের ক্লান্তি শেষে রাত নামে প্রবাসীদের চোখে। অন্যদিকে আলো ঝলমলে শহরের নীরবতা ভাঙে পারস্য উপসাগরের ঢেউ। যেই কলতানে নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।