যুদ্ধ
বিদেশে এখন
0

গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

গাজায় যুদ্ধবিরতির ইস্যুতে অবস্থান পরিবর্তন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি অঞ্চলটির সবশেষ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের সেনা অভিযান স্থগিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন। গাজায় জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের আরও অনেক দেশ।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় তেল আবিবের স্থল অভিযানের পরিকল্পনারো বিরোধিতা করেছে। হামাস-ইসরাইলের সংঘাত শুরুর পর থেকেই নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বরাবরই ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলজেরিয়ার আনা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

যদিও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে উঠে পড়ে লেগেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে তেল আবিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেলে ইসরাইলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে যাবে। এর আগে ইসরাইলি সংসদ নেসেটে একটি আইন প্রস্তাবের কথা জানান নেতানিয়াহু, যেখানে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হবে।

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতেও চলছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে শুনানি। এরমধ্যেই গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। উপত্যকার পাশাপাশি শরণার্থী শিবিরে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সুপেয় পানির সংকট। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে খাবারের জন্য। গাজার স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা আরও বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে নতুন করে দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলোতে ইসরাইলের সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে।

ইসরাইলের সেনা অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু ২৪ ঘন্টায় প্রাণ গেছে শতাধিক মানুষের। ইসরাইলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অভিমুখে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরাইলি। হামাস জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে যাবে না সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

ইএ