মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

0

লোহিত সাগরে ইসরাইল সংশ্লিষ্ট সব জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করছে ইয়েমেনের হুতিরা।

এদিকে হুতি বিদ্রোহীদের দমাতে ইয়েমেনে একের পর এক হামলা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে আরও বেশি চড়াও হচ্ছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। নিজেদের অবস্থানে তারা অনড় রয়েছে।

গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরাইল ও তাদের মিত্রদের জাহাজে আক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় গাজার বাইরে নতুন করে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের চলমান দ্বন্দ্বে মারাত্মক বিপদজনক রুটে পরিণত হয়েছে লোহিত সাগর। ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে মার্কিন হামলার মধ্যেই মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে মাল্টার পতাকাবাহী গ্রিসের মালিকানাধীন জাহাজ।

ইয়েমেনের সালিফ বন্দর থেকে ৭৬ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিম দিয়ে যাওয়া ওই জাহাজে হামলা করা হয়। হামলায় জাহাজের কেউ হতাহত হননি। তবে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জবাব দিতে হুতিদের ওপর ফের হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে হুতিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, 'আমরা সংঘাত প্রসারিত করতে চাইছি না। হুতিদের কাছে এখনও সঠিক পথ বেছে নেয়ার জন্য সময় আছে। আর তা হচ্ছে হামলা বন্ধ করা।'

এদিকে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হুতিদের হামলার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। লোহিত সাগর থেকে মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে যেসব জাহাজ ইউরোপে যেতো, সেসব জাহাজকে এখন আফ্রিকা ঘুরে যেতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় গন্তব্যে যেতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে আরও ১০ দিনের অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। এমনকি এশিয়া থেকে ইউরোপ যেতে লাগছে ৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত জ্বালানি। এতে করে জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।