তাইওয়ানে লাই চিং তে'র জয়, ক্ষোভে ফুঁসছে চীন

বিদেশে এখন
0

চীনের হুমকিকে তোয়াক্কা না করে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) উইলিয়াম লাই চিং তে বিজয়ী হয়েছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে জয় পেলো দলটি।

বিশ্ব মানচিত্রে তাইওয়ানের অবস্থান স্থায়ী হওয়ার পথে এগিয়ে গেল তাইপে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দেন লাই চিং তে। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রমাণ করে তাইওয়ানের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিরোধীদল কুওমিনতাং পার্টি ভোট পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। আর ভোটে ৭১ শতাংশ মানুষ অংশ নিয়েছেন।

তবে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভিন্নমত রয়েছে। তাইওয়ানের এক নাগরিক বলেন, একটু বিপজ্জনক বটে, কারণ আমরা শান্তি চাই। চীন-তাইওয়ানের সম্পর্ক এতো সহজেই স্বাভাবিক হবে না। উল্টো আরও নেতিবাচক দিকে যেতে পারে।

আরেক নাগরিক বলেন, ‘নির্বাচনে ডিপিপি’র জয়ে আমি খুব খুশি। ভবিষ্যতে সরকার গঠন সুন্দর হবে। তবে সব দলেরই সমঝোতার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা উচিত।’

ডিপিপি বলছে, তাইওয়ান সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। চীনের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এই নির্বাচনে চীনা বিরোধী ডিপিপি'র জয় হলেও বেইজিংয়ের দাবি, তাইওয়ানে যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাইওয়ান চীনেরই অংশ, এই পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবে না। এক চীন নীতিই শুধু তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বজায় রাখতে পারে।

তাইওয়ানের ডিপিপি বলছে, এই অঞ্চল কে শাসন করবে তা নির্ভর করে ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের সিদ্ধান্তের ওপর।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই ভোটের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী। এর আগে সাই ইং ওয়েন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তাইপের সঙ্গে অনেকাংশে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে বেইজিং। এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতিও জোরদার করে চীন। এই অঞ্চলে কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বরাবরই এই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।

গত ৮ বছর ধরে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি ডিপিপি তাইওয়ান শাসন করছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে। যদিও তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করায় লাই'কে বিরোধী হিসেবে দেখছে বেইজিং।

গত কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে বেইজিং। নতুন বছরের শুরুতেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণ অনিবার্য। তাইপেকে শুভেচ্ছা জানালেও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাইওয়ান স্বাধীনতা দাবি করলে বেইজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত বাড়বে।