বিরোধপূর্ণ এই দ্বীপটিতে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তিনজন। ডানপন্থী ক্ষমতাসীন দল ডিপিপির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে ও বিরোধী দল কেএমটি’র প্রার্থী হউ ইয়ো ই'র মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে দ্বীপটির স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় ডিপিপিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল হিসেবে দেখে চীন। আর বিজয়ী হলে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীর পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি লাইয়ের।
অন্যদিকে নির্বাচিত হলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন কেএমটি প্রার্থী হউ। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তবে মধ্যপন্থার আশ্রয় নিয়ে আলোচনায় তৃতীয় প্রার্থী টিপিপি’র কো ওয়েন জে। এই নেতা জানান নির্বাচিত হলে অনুসরণ করবেন বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি। একইসঙ্গে জোর দিবেন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে।
বর্তমান শাসক দল ডিপিপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাইওয়ানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে চীন। তাইওয়ান প্রণালী ও দক্ষিণ চীন সাগরে বেড়েছে সামরিক উপস্থিতি, জারি করা হয় বেশকিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। এমনকি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেয়ায় কর ফাঁকির তদন্ত চালানো হয় ফক্সকনের প্রতিষ্ঠাতা টেরি গোউ-এর ওপর। বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান টেরি।
নির্বাচনের একদিন আগে তাইওয়ানের আকাশসীমা থেকে দুটি চীনা গুপ্তচর বেলুন জব্দের কথা জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া জলসীমায় ঢুকে পড়েছে ৮টি চীনা যুদ্ধ বিমান ও ৬টি জাহাজ। বেইজিং বলছে, যুদ্ধ নাকি শান্তি কোনটি চায় তাইওয়ানিজরা, তা ঠিক করবে এই নির্বাচন।
অন্যদিকে স্বাধীনতাপন্থী ডিপিপি ক্ষমতায় না আসলে বিপদে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাড়বে চীনের আধিপত্য। হুমকির মুখে পড়বে গুয়াম ও হাওয়াইতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটি, সঙ্গে তাইওয়ানের দখলে থাকা বিশ্বের ৪৬ শতাংশ সেমিকন্ডাক্টরের নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে চীনের কাছে।