যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে বিকল্প বাজার খুঁজচ্ছে কানাডা। গুরুত্ব বাড়ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপ আর এশিয়ার দেশগুলোরও। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে শিগগিরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ কার্যকর করার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন কানাডার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দূরত্বের কারণে দুই দেশের মধ্যে প্রধান বাধা পরিবহন সক্ষমতা ও ব্যয়।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘একটা রুইমাছ এখানে পড়বে ১০ ডলার। আর বাংলাদেশ থেকে একটা রুইমাছ আমদানি করে নিয়ে আসলে ব্যাট ছাড়িয়ে ওইটা পড়বে ২০ ডলার। প্রবাসী যারা আছে তারা চায় বাংলাদেশি পণ্যটা কিনতে। কিন্তু যখনই দামের দিকে যায় তখনই ব্যবসার জন্য এই সমস্যাটা হয়ে যায়।’
কানাডা সরকারের তথ্য বলছে, বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪ শ’ কোটি ডলার। বাংলাদেশ থেকে সিংহভাগই যায় তৈরি পোশাক। তবে ঢাকা-অটোয়ার প্রয়োজন মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারলে লাভবান হওয়ার সুযোগ যেমন রয়েছে তেমনি কানাডার বিকল্প বাজার পাওয়ার বিষয়টিও সহজ হবে।
কানাডার গবেষক ও অর্থনীতিবিদ সাকিবা জেবা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের ডমেস্টিক প্রোডাকশন বাড়াতে হবে।’
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও দেনদরবার অব্যাহত রাখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
সাকিবা জেবা বলেন, ‘নেগোসিয়েশনের পথটা এখনও খোলা আছে। সামনের মাসে কানাডায় জি-সেভেন সামিট হচ্ছে। সেখানে হয়তো আরেকটা দুয়ার খুলে যাবে। আমরা বালো প্রতিবেশি হিসেবে থাকতে চাই।’
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির বৈঠকে শুল্ক ইস্যুতে মূল আলোচনা হয়। কিন্তু সঠিক কোনো সুরাহা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার কানাডা; দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি ডলার বলে তথ্য অটোয়ার। কানাডা তার অধিকাংশ পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরূপ আচরণ ভাবাচ্ছে প্রতিবেশী দেশটিকে।