বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় কারাগারে সাবেক এমপি শাহ শহীদ

সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার
সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার | ছবি: এখন টিভি
2

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ারকে (৬২) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এ নেতা রোববার (২১ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

ময়মনসিংহ আদালত পরিদর্শক পীরজাদা শেখ মো. মোস্তাছিনুর রহমান জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি বিএনপির সাবেক এমপি শাহ্ শহীদ সারোয়ার স্বেচ্ছায় জামিন আবেদন করে রোববার আদালতে হাজির হন।

শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত উল্লাহ জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়।

শাহ শহীদ সারোয়ার ফুলপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে এমপি হয়েছিলে। পরে ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করায় তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রিকশা চালক আমীর হেসেন (৩১) ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের বিএনপির সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ারসহ ১২৫ জনের নামে একটি মামলা করেন। আদালতের আদেশে গত ১২ জুলাই ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে।

মামলার বাদী শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাগিচাপুর কৃষ্ণপুর গ্রামের আমীর হোসেন (৩১)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ঢাকার উত্তরায় একটি বস্তিতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২০ জুলাই অসুস্থ বাবাকে বাড়িতে দেখে ঢাকায় ফেরার পথে দুপুর ১২ টার দিকে ফুলপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ময়মনসিংহ ও ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন তিনি।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় ফুলপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও ২ নম্বর আসামি করা হয় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক এমপি বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে।

এ দু'জনসহ মামলায় ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এজাহারে বলা হয়, মামলার দুই নম্বর আসামির নেতৃত্বে সেদিন স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অস্ত্রধারী লোকজন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হামলা করে।

এএইচ