চীনের সাথে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধে এই প্রথম সুর নরম করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, বেইজিংয়ের সদিচ্ছা থাকলে বাণিজ্য চুক্তির পথেও হাঁটতে পারে ওয়াশিংটন।
গেল ৯ এপ্রিল চীন বাদে অন্যান্য দেশের পণ্যের ওপর আরোপ করা আমদানি শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। আর চীনের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্কের বোঝা।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দুই পরাশক্তির রেষারেষিতে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। অবশেষে পরোক্ষভাবে চীনকে জানানো হল, আলোচনায় বসতে আগ্রহী ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'এটা আসলে চীনের ওপর নির্ভর করে। পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের চরিত্র। বহুবছর ধরে আমাদের শোষণ করা হচ্ছে। সবাই এটা জানে। এ নিয়ে আগেও কথা বলেছি। বন্ধু-শত্রু সবাই আমাদের শোষণ করছে।'
এদিকে ৯০ দিনের জন্য শুল্কারোপ স্থগিত করার পর শুল্কের মাত্রা নিয়ে নানা পর্যায়ে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে নতুন শুল্কের এই তালিকা হাজির করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
সিএনএন বলছে, নতুন তালিকায় কোনো কোনো দেশের ওপর আরোপ করা শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা থাকলেও চীনের বিষয়ে কোনো আভাস দিচ্ছে না হোয়াইট হাউজ।
অন্যদিকে কানাডা ইস্যুতে এখনও ক্ষেপে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রতিবছর কানাডাকে অন্তততে ২শ' বিলিয়ন ডলারের জোগান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এটাকে বাড়াবাড়ি বলছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, কিন্তু নিজস্ব কারখানায় গাড়ি বানানোর প্রযুক্তি ও সক্ষমতা আছে তাদের। ফলে, এ ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখতে চান না ট্রাম্প। তাই ঘোষণা দিয়েছেন, কানাডায় নির্মিত গাড়ির ওপর আরোপ করা ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরও বাড়তে পারে।
তবে ট্রাম্পের এই নয়া শুল্কনীতির কারণে মার্কিন নাগরিকরা কতটা লাভবান হবেন কিংবা এর বিশ্ববাজারে এর কী ধরনের প্রভাব পড়বে সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।