গবেষণার জন্য চাঁদে পাঠানো হবে কুকুর আকৃতির রোবট স্পিরিট। তাই সেখানকার উঁচু-নিচু সব ধরনের চ্যালেঞ্জিং পথ অতিক্রমের জন্য দক্ষ করে তুলতে দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের একটি পাহাড়ের চূড়ায় সম্প্রতি এমনই একটি অনুশীলন মিশন শেষ করেছে এর সঙ্গে যুক্ত একদল বিজ্ঞানী। যেখানে তুষার ও অমসৃণ পাথুরে পথে হাটিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয় খুঁটিনাটি ত্রুটি।
ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির জ্ঞানীয় বিজ্ঞানী ড. ক্রিস্টিনা উইলসন বলেন, 'চাঁদে যেসব মিশন হওয়ার বাকি আছে তা সফল করতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই গ্রহের মিশনে প্রথমবারের মতো মানুষ এবং রোবট পাশাপাশি কাজ করতে যাচ্ছে৷ গ্রহে অনুসন্ধান চালাতে মানুষ এবং রোবটদের কীভাবে সহযোগিতা করা উচিত তা বিবেচনা করেই গবেষণা চলছে।'
রোবটটি আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতেই এভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গবেষক দলটি। আর এই অগ্রযাত্রায় তাদের অর্থসহ যাবতীয়ভাবে সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। চাঁদ ছাড়াও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহেও যাতে পাঠানো যায় তার জন্য রোবটটিকে অনুশীলনের আওতায় আনার পরিকল্পনা তাদের।
ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক ফেইফি কিয়ান বলেন, 'আমাদের স্বপ্ন হল রোবট আমাদের ভিন্ন গ্রহে অন্বেষণ চালাতে সাহায্য করবে। এটি সফলভাবে করার জন্য রোবটটিকে আরও ভালভাবে চলাফেরা করতে হবে। সেই সঙ্গে আরও দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও অভিজ্ঞ হতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রজেক্টটি করা হচ্ছে। তাই আমাদের বিজ্ঞানীরা রোবটকে চলাফেরায় আরও দক্ষ করতে চেষ্টা করছেন।'
গবেষকদের দাবি হাঁটার সময় প্রতিটি পদক্ষেপে ঠিক মানুষের মতোই অনুভূতি পায় রোবটটি। এছাড়া রোবটটি গ্রহ বিজ্ঞানের জন্য কিভাবে উপযুক্ত হতে পারে তা নিয়েও কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।