বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণায় অস্থিরতা দেখা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। এতে ব্যাপক সমালোচনায় পড়ে ট্রাম্প প্রশাসন। বিরোধীদল ছাড়াও নিজ দলের অনেক আইন প্রণেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছেন ট্রাম্প। প্রায় ৭৫ টি দেশের ওপর থেকে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করেন তিনি। তবে শুধু চীনের ওপর তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৫ শতাংশ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। এই বিষয়ে ক্যাবিনেট সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। অবশেষে এটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশির বসবাস। তাদের প্রায় সবাই বাংলাদেশের আমদানি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-চাল, ডাল, মাছ, সবজির ওপর নির্ভর করেন। পোশাকের পাশাপাশি এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেন এখানকার প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। তবে ট্রাম্পের শুল্কারোপের পর বেড়ে যায় এসব পণ্যের দর।
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইতোমধ্যেই জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তবে শুনলাম, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কথা বলে শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনমাসের জন্য শুল্ক স্থগিত হওয়ায় অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে। তবে স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহার না করলে বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় এখানকার ছোট-বড় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এই সমস্যার সমাধান কেবল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতেই রয়েছে বলে জানান দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ আয় করেন ন্যূনতম মজুরি। কোভিড মহামারির পর পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতি আতঙ্কিত করে তুলেছে মার্কিনদের।