চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের রেকর্ড তাপমাত্রা, ঠেকেছে ৪২ ডিগ্রিতে

তাপমাত্রায় চুয়াডাঙ্গার জনজীবন ও রাস্তার গলিত বিটুমিন
তাপমাত্রায় চুয়াডাঙ্গার জনজীবন ও রাস্তার গলিত বিটুমিন | ছবি: এখন টিভি
0

দেশের ৩৮ জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে এর মাত্রা সবচেয়ে বেশি। চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের রেকর্ড ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছে। অনেক স্থানে গলে যাচ্ছে সড়কের বিটুমিন। এছাড়া ঢাকা, খুলনা, রংপুর, বরিশালসহ দেশের ৩৬ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এমন অবস্থা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গেলো এক সপ্তাহ ধরে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিলো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল (শুক্রবার, ৯ মে) যা রূপ নেয় তীব্র তাপপ্রবাহে। তাপমাত্রার পারদ স্পর্শ করে ৪১ দশমিক দুইডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ।

গরমের সাথে তীব্র হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি। অল্পতেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষ। খরতাপের অনেক স্থানে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচও। জেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ।

আরো পড়ুন:

গেলো দু’দিন মাঝারি তাপপ্রবাহের পর রাজশাহীতেও তীব্র হয়েছে দাবদাহ। এতে মানুষের কষ্ট বাড়লেও অতিরিক্ত তাপমাত্রা যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ফল ফসলের জন্য। সহজেই পাকা ধান শুকিয়ে ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। আর আমে ধরছে রোদের হলদে রং।

খুলনাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকাতেই বইছে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রার পারদ ৩৯ ডিগ্রি ছুলেও গরমের অনুভূতি আরও বেশি। একটু স্বস্তি পেতে ভিড় বেড়েছে ডাব ও শরবতের দোকানে।

উত্তরের জেলা রংপুরও দাবদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। অতিরিক্ত গরমের কারণে কমেছে শ্রমিকের কর্মঘণ্টা, কমেছে আয়ও। গরমে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য অসুস্থতা এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আরো পড়ুন:

মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বরিশালসহ দেশের অন্তত ৩৮ জেলায়। এতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট।

আবহাওয়া অফিস বলছে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে অন্তত আরো তিন-চারদিন। এরপর মিলতে পারে বৃষ্টির দেখা। তবে, এর আগে তাপমাত্রা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

এসএইচ