৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে মিয়ানমার। সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল মাস পার করছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ। প্রাণহানির সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। অসহনীয় গরমে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫টি দেশ বাধ্য হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে।

টানা ১২ মাস ধরে বিশ্বজুড়ে ভেঙেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে চলতি বছর আর্থিক ক্ষতি ছাড়িয়েছে ৪ হাজার ১শ' কোটি ডলার। তাপমাত্রা বৃদ্ধির লাগাম টেনে না ধরতে পারলে ২০৪৯ সাল নাগাদ প্রতিবছর বৈশ্বিক আয় কমতে পারে গড়ে ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।

তীব্র তাপপ্রবাহের পর সৌদি আরবের মক্কাসহ বিভিন্ন শহরে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। এতে প্রশান্তি ফিরেছে হাজিদের মধ্যে।

অসহনীয় গরমে পুড়ছেন ভারতের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা। ইতিহাসের দীর্ঘতম তাপপ্রবাহের অর্ধেক এখনও বাকি বলে সতর্ক করেছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা।

কাতারে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় খোলা জায়গায় কর্মরত শ্রমিকদের সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাজে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। নিয়ম না মানলে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।

তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ (মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তীব্র গরমে জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও এলার্জি জাতীয় ওষুধের বিক্রি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। চাহিদার শীর্ষে রয়েছে প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল আর ওরস্যালাইন। গরমজনিত রোগ থেকে রেহাই পেতে কেউ কেউ আগাম ওষুধ কিনছেন। তবে অসুস্থ হলে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

সারাদেশে তীব্র দাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। রোববার (২১ এপ্রিল) সাত জেলায় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ৮ জন মারা গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

সারাদেশে প্রচণ্ড তাপদাহে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বাড়ছে হিটস্ট্রোক। দেশের সব হাসপাতালেরই শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি আছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে আরও কয়েক দিন।