ইটভাটায় দূর থেকে করাত কল দেখে কোনো স-মিল মনে হতে পারে। বড় বড় গাছের টুকরো এখানে এনে ছোট করে পোড়ানোর উপযোগী করা হয়। নিষিদ্ধ হলেও এখানকার বেশিরভাগ ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য এভাবেই অস্থায়ী করাতকলে চলে এমন কর্মযজ্ঞ।
এসব ভাটায় জিগজাগ চিমনি ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার হচ্ছে একাধিক নিষিদ্ধ বাংলা চিমনি। এতে নির্গত ধোঁয়ায় ফসল নষ্টের পাশাপাশি প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নাকের ডগায় এসব ভাটায় অবৈধ কার্যক্রম চললেও নীরব পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়রা বলেন, 'ফসলের জমিগুলো খনন করে ফসলের জায়গা নষ্ট করছে। এ মাটি পরিবহন করে রাস্তা নষ্ট করছে। কালো ধোঁয়ায় মানুষের রোগবালাই হচ্ছে। প্রশাসন প্রতিনিয়ত এসব দেখছে কিন্তু তাদের কোনো প্রতিকার নাই।'
ভাটায় অবাদে গাছ-কাঠ ও করাত কলের ব্যবহারের বিষয়টি অবৈধ স্বীকার করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, 'গাছ পোড়ানোর বিষয়টা নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলে অচিরেই ব্যবস্থা নেব।'
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, 'জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ দিলে আমরা এ সমস্ত অবৈধ ইট ভাটা ভেঙে দেব।'
তালিকা করে বাংলা চিমনি ব্যবহার করা ভাটাগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, 'সবাইকে কাঠ না পুড়িয়ে জিগজাগ পদ্ধতিতে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। যারা এ পদ্ধতিতে আসছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
নিবন্ধনহীন এ অবৈধ চিমনিতে চলা এসব ইটভাটা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।