শীর্ষ ১০০ অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বেড়েছে ৬ শতাংশ

অস্ত্রের মজুদ
অস্ত্রের মজুদ | ছবি: সংগৃহীত
0

২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্ব প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৬৭ হাজার ৯শ' কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে মারণাস্ত্রের রমরমা ব্যবসার এ তথ্য তুলে ধরেছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ ছাড়াও তালিকায় নাম আছে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন দেশের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে সহিংস উত্তেজনার পারদ। লড়াইয়ের এ খেলায় দেশে দেশে বাড়ছে মারণাস্ত্রের আধিপত্য। এতে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পাল্লা ভারী হলেও, ফায়দা লুটছে শীর্ষ অস্ত্র উৎপাদকরা।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট -সিপ্রি'র তথ্যে ওঠে এসেছে এসব তথ্য। যেখানে বলা হয়- বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সমরাস্ত্র শিল্পের মুনাফা বেড়ে হয়েছে রেকর্ড ৬৭ হাজার ৯শ' কোটি মার্কিন ডলার। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। অস্ত্র বিক্রির রেকর্ড রাজস্ব আয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো।

তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন, নর্থরপ গ্রুম্যান ও জেনারেল ডায়নামিকস। প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০০ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্সও। এক বছরে কোম্পানিটির সামরিক রাজস্ব দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:

এদিকে শীর্ষ ১০০-তে স্থান পেয়েছে রাশিয়া বাদে ইউরোপের ২৬টি কোম্পানি; যার মধ্যে ২৩টির রাজস্ব বেড়েছে। ২০২৪ সালে ইউরোপের মোট অস্ত্র বিক্রি ১৩ শতাংশ বেড়ে ১৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের জন্য গোলাবারুদ উৎপাদন বাড়ানোর ফলে চেক রিপাবলিকের চেকোস্লোভাক গ্রুপের আয় ১৯৩ শতাংশ বেড়ে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা তালিকার মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। আর ইউক্রেনের জেএসসি ইউক্রেনিয়ান ডিফেন্স নামক প্রতিষ্ঠানের ৪১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার।

প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি কোম্পানি শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। তাদের সম্মিলিত আয় ১৪ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ১৬ শতাংশ আয় বাড়িয়েছে ইসরাইলের তিনটি প্রতিষ্ঠান। গাজায় চলমান গণহত্যা ও ব্যাপক বোমা হামলা শুরুর পর থেকে তেল আবিবের অস্ত্র প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। তালিকায় আছে তুরস্কের পাঁচটি কোম্পনিও।

তালিকায় জায়গা করে নিলেও চীনের সামরিক শিল্পে অভন্তরীন সংকটের জেরে এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের সার্বিক অস্ত্র খাতের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মোট রাজস্ব কিছুটা কমে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এলেও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো বিপুল প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। সিপ্রি'র প্রতিবেদনে শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নাম আছে ভারত, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ কোম্পানির নাম।

ইএ