এখন ভোট
0

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এবারের শ্লোগান, স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান। ইশতেহারে ১১ টি বিষয়কে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে, দ্রব্যমূল্য কমানো, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, শিল্পের প্রসার, প্রযুক্তিনির্ভর কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থান।

দ্বাদশ নির্বাচনের ১০ দিন আগে বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য দেন। এরপর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে দলীয় রূপরেখা ঘোষণা করতে মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি জাময়াত জোট সরকার ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনামূলক উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানো হবে। ১১টি বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার জনসম্মখে তুলে ধরা হয়। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ১১ বিশেষ অগ্রাধিকার হলো...

১. দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটনো।

৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।

৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সকলকে যুক্ত করা।

৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সকল ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।

১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটনা।

ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ সভাপতি আশ্বাস্ত করেন শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে। নির্বাচিত হলে বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা করা হবে। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় এবং টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে।

২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট উন্নীত করার ঘোষণাও আসে ইশতেহারে। নৌপথ সড়কপথ, রেলপথের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় ইউনিক হেলথ কার্ডের ঘোষণা আসে ইশতেহারে।

এছাড়া আগামীর বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নারীর ক্ষমতায়নের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য তার সরকারের নেয়া বিশেষ সুবিধা রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

এসএসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর