আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে লুটপাট হয়েছে তাতে ভঙ্গুর অবস্থায় দেশের ব্যাংকখাত। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরপরই এসব তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। দুর্বল রিজার্ভের কারণে চাপে পড়ে অর্থনীতি, বেড়ে যায় মূল্যস্ফীতি।
এরইমধ্যে দুর্বল ব্যাংকে পর্ষদ পুনর্গঠন, অর্থ সহায়তা ও বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর পাঁচ মাসের অর্জন আর্থিক খাতে আতঙ্ক কেটে গেছে।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। আর তা করতে যা আরো বাড়তে পারে নীতি সুদহার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি আগে থেকেই বাজারে ছিল। তারপরও নীতি সুদহার আমাদেরকে বাড়াতে হয়েছে। আমরা আশা করছি এই ডিসেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসবে। যদি না আসে সেক্ষেত্রে আমাদের এই বাড়তি হার বাড়তে থাকবে।’
মুখপাত্র জানান, দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে সম্পদের সংকটে বেশি লুট হওয়া ব্যাংকে নিরীক্ষা শুরু করা যায়নি। এদিকে, ব্যাংকখাতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আপাতত খেলাপি ঋণ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে না বলেও জানান মুখপাত্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘বড় ব্যাংকে হাত দেয়ার মতো রিসোর্স আমাদের ছিল না। আমাদের রিসোর্স ছিল না আর আমাদের অভিজ্ঞতারও অভাব আছে। আমরা ছোটগুলো নিয়ে অভিজ্ঞতা নিতে চাই। আমরা চাচ্ছি যে খেলাপি ঋণ বাহিরে চলে আসে। আমাদের কিছু সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ আছে কি পরিমাণ খেলাপি ঋণ কমানো যায়। আমাদের সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
রেমিট্যান্সের উর্ধ্বগতির ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতি আরো ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।