বাংলাদেশ ও ১৭টি দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সকাল ১১টায় শুরু হয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন'র একাদশ সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও জাতীয় পতাকা হাতে সারিবদ্ধভাবে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করেন ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানের বেশ আগেই বায়েজিদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী তিনটি ব্যাচের ১৭টি দেশের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। এই সময় সহপাঠীদের সাথে আনন্দঘন মুহূর্তের স্মৃতি মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন উচ্ছ্বসিত ছাত্রীরা।
গ্র্যাজুয়েশনের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে দেশি বিদেশি শিক্ষার্থীরা জানান, আজকের দিনটি তাদের জীবনের একটি মাইলফলক। শুধু একার এগিয়ে যাওয়া নয় সারা বিশ্বের সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগানোর সুযোগ দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য তারা গর্বিত। এই শিক্ষা নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজে লাগাতে চান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও সাবেক ব্রিটিশ ফাস্ট লেডি চেরি ব্লেয়ার বলেন, 'সারা বিশ্বে শুধু জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখনও অনেক দেশ গণতন্ত্রের জন্য লড়ছে। পৃথিবীর অনেক জায়গায় বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা আগামীতে নিজ কর্মক্ষেত্রে সফলতার পাশাপাশি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই করে বৈষম্যহীন সুন্দর পৃথিবী গড়তে তোমাদেরকে সহায়তা করবে।
নতুন এক বৈশ্বিক জগতে প্রবেশে এইডব্লিউ শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা তুলে ধরে উপাচার্য ও সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, 'পৃথিবীতে ব্যাপক প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আসছে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নিজেদের প্রতিনিয়ত তৈরি করতে হবে।'
বক্তব্য শেষে একে একে তিনশ' শিক্ষার্থীর হাতে স্নাতকের সনদ তুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রায় শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষাজীবনে অসাধারণ সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের দুই শিক্ষার্থীতে এন্ডি মাতসুই পুরস্কার দেয়া হয়।