নতুন বছরের নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। শিক্ষা জীবনের এই অসাধারণ অনুভূতি পেতে সকাল সকাল স্কুলে খুদে শিক্ষার্থীরা।
তবে এবার চট্টগ্রামে প্রাথমিকে মোট ৪৪ লাখ ৪ হাজার চাহিদার বিপরীতে এসেছে ৩০ শতাংশ বই। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কেবল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বই পায়। আর তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অর্ধেক ও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায়নি কোন বই।
প্রাথমিকের চেয়ে তীব্র সংকট মাধ্যমিকে। ১ কোটি ৭৪ লাখ চাহিদার বিপরীতে বই পাওয়া গেছে ৩ থেকে ৪ শতাংশ। কিছু বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির বই এলেও অন্যান্য শ্রেণির বই নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
ময়মনসিংহে প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই দেয়া হলেও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায় মাত্র তিনটি বই। আর প্রাক প্রাথমিকসহ অন্যান্য শ্রেণির বই ২০ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বরিশালে তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শুরু হয় নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম। সকাল ১১ টার দিকে নগরীর কাউনিয়া শহীদ আরজু মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় বাংলা ইংরেজি ও গণিত বই। এবার জেলায় প্রাথমিকে ৪১ শতাংশ আর মাধ্যমিকের ৪ দশমিক ২ শতাংশ বই এসেছে। তবে, পাওয়া যায়নি মাদ্রাসা, কারিগরি, ভোকেশনাল ও ইংরেজি মাধ্যমের কোনো বই।
বছরের প্রথম দিনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়। চাহিদার চাহিদা মতো না পেলেও এবার বইয়ের মান হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১০ সালের পহেলা জানুয়ারি প্রথমবার বই উৎসব শুরু হয়।