পরিষেবা
অর্থনীতি
0

ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশনে যেতে চায় বেবিচক

নকশায় কিছু ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের দ্রুত অপারেশনে যেতে চায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হবে আর সব ঠিক থাকলে ফ্লাইট চলবে নভেম্বরের মধ্যেই। এদিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হলেও, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার কাজ শেষ হতে লাগবে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখাতে আট বিমানবন্দরে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া হয়েছিল ১৫টি প্রকল্প। যার কোনোটাই শেষ হয়নি নির্ধারিত সময়ে। উল্টো দফায় দফায় বেড়েছে মেয়াদ আর খরচ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। শুরু থেকেই এই প্রকল্পের ব্যাপক খরচ আর নকশার ত্রুটি আলোচনায়। সম্প্রতি ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টার্মিনালটির গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পায় বিমান।

এমন অবস্থায় কবে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হবে তৃতীয় টার্মিনালের? বেবিচক বলছে, চলতি বছরের মার্চে পুরো কাজ শেষ হবে। আর ফ্লাইট চলবে নভেম্বরে। যে টাকা খরচ হয়েছে তাতে আপাতত টার্মিনালটিকে অপারেশনে আনাই মূল লক্ষ্য। দুর্নীতির দায়ে ইতোমধ্যে প্রকল্প পরিচালককেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, '২.১ বিলিয়ান ইউএস ডলার এখানে খরচ হয়েছে। যেটা জাইকা থেকে আমরা লোন নিয়েছি এবং বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। এই প্রজেক্টটা আমরা অতিদ্রুত শেষ করতে চাচ্ছি। আমাদের আশা অক্টোবরে শুরু করা, অক্টোবরে না পারলে নভেম্বরে বা এই বছরে আমরা অবশ্যই শুরু করবো।'

বাকি বিমানবন্দরগুলোতে চলমান প্রকল্পের অগ্রগতিও জানানো হয় ব্রিফিংয়ে। সিভিল অ্যাভিয়েশন থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রামের শাহ আমানতের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার কাজ শেষ হতে লাগবে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ।

নতুন চালুর তালিকায় সবার আগে আছে বগুড়া বিমানবন্দর। আর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার লক্ষ্যে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, 'এটা বর্তমানে সব স্টেপ পার হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে টাকা ছাড় করার জন্য। এটাতে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লাগব। আর এখানে যে উন্নীত করবো সেটার জন্য আরও পাঁচ হাজার কোটি টাকা লাগবে। পৃথিবীর অনেক দেশে বিল্ড অপারেট ট্রান্সফার অথবা টিপিপি প্রজেক্টের মাধ্যমে এগুলো করার আগ্রহ দেখাচ্ছে আমাদের।'

এসময় উঠে আসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী ও এপিবিএন দ্বন্দ্বের বিষয়টি। চেয়ারম্যান জানান, সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে।

এসএস