ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার মধ্যরাত থেকে লোডশেডিং শুরু হয় টাঙ্গাইলে। এতে টানা ৪০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিলো বিভিন্ন এলাকা। ফলে সবধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরসহ বিভিন্ন কাজে বাড়তি খরচ হয়েছে। এছাড়া নষ্ট হয়েছে ফ্রিজে রাখা অনেক পণ্য।
লোডশেডিংয়ের কারণে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিকের রোজগার বন্ধ ছিল। আয় রোজগার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
জেলা অটো রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন উল্লাস বলেন, 'বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের পরিবহন শ্রমিকরা ঠিক মতো গাড়ির চার্জ দিতে পারে নাই। সেজন্য ৬-৭ হাজার চালক আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
দুই দিনের লোডশেডিংয়ে ৫ লক্ষাধিক ব্যবসায়ীর প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু।
তিনি বলেন, 'অধিকাংশ দোকানেই কিন্তু প্রজেন সামগ্রী নষ্ট হয়। সেগুলো সব পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ফেলে দিতে হবে।'
বিদ্যুৎ অফিস বলছে, বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলো। তবে বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুপারিনটেনডেন্ট ওবায়দুল ইসলাম বলেন, 'বিদ্যুতের গ্রাহক আছে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো। ভোর ৫টার পরে সবারই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় লাইনের উপরে গাছ পড়েছে।'
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।