প্রিপেইড মিটার বসানোর পর থেকেই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল কাটার অভিযোগ গ্রাহকদের। আপত্তি ডিমান্ড চার্জ নিয়েও। সম্প্রতি দেশজুড়ে আলোচনায় রাঙামাটিতে দিনমজুরের স্ত্রী শাবানা বেগমের ১১০০ টাকার বিল বেড়ে হঠাৎ ৬৪ হাজার টাকা হয়ে যাওয়ার ঘটনা। কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকার নির্ধারিত বিলের বাইরে এক টাকাও অতিরিক্ত কেটে রাখার সুযোগ নেই।

স্বাভাবিক সূচিতে ফেরার শুরুর দিনেই দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় পুরোদমে চলেছে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম। সাধারণ লেনদেন ছাড়াও ভিড় বেড়েছে ফরেন কারেন্সি বিভাগে। গ্রাহকরা বলছেন, জনস্বার্থে ব্যাংকিং সেবা সব ধরনের বিধিনিষেধের বাইরে রাখা উচিত।

সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও বেশিরভাগ গ্রাহক রয়েছেন এই সেবার বাইরে। ক্রেতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে বিপাকে পড়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখেরও বেশি উদ্যোক্তা। আর্থিক ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন তা নিয়েও রয়েছে বেশ দুশ্চিন্তা। সবমিলিয়ে সময়টা যেন একদমই ভালো যাচ্ছে না ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের।

ছয়দিন পর খুলেছে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার। চোখে পড়েছে নগদ টাকা তোলার চাপ। আজ (বুধবার, ২৪ জুলাই) ব্যাংকের নিজস্ব শাখাগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক লেনদেন করা গেলেও অনলাইন এবং অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত আকারে চলেছে। এদিকে বড় পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন।

ময়মনসিংহে প্রতিমাসেই নষ্ট হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের ২০ শতাংশ মিটার। ওয়ার্কশপে নষ্ট পড়ে আছে কোটি কোটি টাকার ট্রান্সফরমার। অভিযোগ উঠেছে কমিশন নিয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তা প্রতিবছরই কিনছেন শতশত কোটি টাকার মানহীন যন্ত্রাংশ। এতে বাড়ছে লোডশেডিং অন্যদিকে গ্রাহককে প্রতিমাসেই গুণতে হচ্ছে ভুতুড়ে বিদ্যুৎবিল।

মুঠোফোনে কথা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আরও খরচ বাড়ায় হতাশ সাধারণ গ্রাহকরা। বলছেন, এতে করে তাদের খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বলছে, অতিরিক্ত খরচ জনগণের ঘাড়ে গিয়ে পড়ায় গ্রাহক কমতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিলো টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকা। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুই দিনের লোডশেডিংয়ে শতকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের।

মার্চ মাস শেষে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। একই সময়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। দেশের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বিতরণ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি ৪০ লাখ টাকা।

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার যেন ভোগান্তির এক যন্ত্র। ডিমান্ড চার্জের নামে টাকা আদায়, বাড়তি মিটার ভাড়া, সাথে যোগ হয়েছে ১৮০ ডিজিটের পিন নম্বর ডায়ালের ভোগান্তি। সব মিলে চট্টগ্রামে ৯ লাখ গ্রাহকের কাছে এখন গলার কাঁটা এই প্রিপেইড মিটার।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারণ হলেও খোলা বাজারের জন্য নির্দেশনা দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে দিনভর মানি এক্সচেঞ্জে ডলার লেনদেন হয়নি। সেইসঙ্গে ব্যাংকে ডলার না পেয়ে ফিরে গেছেন অনেক গ্রাহক। ডলার সরবরাহ কম থাকায় এ পদ্ধতিতে খুব একটা কাজে আসবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।