চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে আয়বর্ধক ও বড় টার্মিনাল নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-এনসিটি। এই টার্মিনাল থেকে বছরে আয় প্রায় ছয়শ' কোটি টাকা। ২০০৭ সালে চালুর পর থেকে দেশি অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক টার্মিনালটি পরিচালনা করে আসছে। তবে শুরু থেকে অপারেটর নিয়োগ নিয়ে ছিল নানা অভিযোগ।
সর্বশেষ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম টার্মিনাল অপারেটর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে জিটুজি ভিত্তিতে টার্মিনালটি পরিচালনার ভার দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে, যা এখন অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিতে চাইছে। যদিও বন্দরের আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের এই টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরকে দেয়া নিয়ে রয়েছে পক্ষ-বিপক্ষ মত।
এদিকে গেল দুই-তিন বছর ধরে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বার বার মেয়াদ বাড়িয়ে এনসিটি পরিচালনা করে আসছে সাইফ পাওয়ারটেক। এ অবস্থায় বিদেশি অপারেটরকে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও জানুয়ারিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই স্বল্পতম সময়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
বলেন, বন্দরের স্বার্থ সংরক্ষণে ২৩ শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে শিগগিরই চুক্তি সই হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়া অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, 'আরব আমিরাতের সাথে আগেই একটা চুক্তি হয়েছিল সেটার আলোকেই আমরা ট্রান্জেশন অ্যাডভাইজার নিয়োগ করেছি। তারা যে কাজ করছে তাতে প্রায় বছর লেগে যেতে পারে।'
করাচি থেকে পণ্য আমদানির চাহিদা বাড়লে, আগামীতে করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দর রুটে নিয়মিত কনটেইনার জাহাজ চলবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গেল তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউ'স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। গেল বছরের চেয়ে হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক দুই দুই শতাংশ।