কনটেইনার-টার্মিনাল

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগ থেকে সরে এলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

সিদ্ধান্ত নেয়ার দেড় মাস পর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগের অবস্থান থেকে সরে এলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে আপাতত বিদ্যমান অপারেটরই কাজ চালাবে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান। সদ্য বিদায়ী বছরে চট্টগ্রাম বন্দর রেকর্ড ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার ও প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে। আগামীতে বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়াতে শতভাগ অটোমেশনে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প বে টার্মিনালের চ্যানেল খনন ও স্রোতরোধী প্রাচীর নির্মাণ করতে মার্চেই চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে।

এনসিটি পরিচালনায় আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগে আরো সময় লাগবে

চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল আলোচিত কনটেইনার টার্মিনাল-এনসিটি পরিচালনায় আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগ চূড়ান্তে আরও এক বছর লাগবে। জানুয়ারিতে বর্তমান দেশি অপারেটরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে। দরপত্র প্রতিযোগিতামূলক করতে অংশগ্রহণের শর্ত সংশোধন করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান। এছাড়া, লালদিয়ার চরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টার্মিনাল অপারেটরের এপিএমের সাথে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কনসেশন চুক্তি সই হবে বলেও জানান তিনি।

পণ্য পরিবহনে কেন আকর্ষণীয় রুট হতে পারছে না চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথ?

পণ্য পরিবহনে কেন আকর্ষণীয় রুট হতে পারছে না চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথ?

কোনোভাবেই পণ্য পরিবহনে আকর্ষণীয় রুট হয়ে উঠতে পারছে না চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথ। উল্টো নানা জটিলতায় ১ বছরের ব্যবধানে এই নৌপথে পরিবহন কমেছে প্রায় ৯২ শতাংশ। আর পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল থেকে বন্দরের আয় কমেছে চারগুণ। সংকট নিরসন করে এই নৌ টার্মিনালের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ভাড়া উন্মুক্ত করাসহ বিভিন্ন সেবার খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যবহারকারীরা বলছেন, পণ্যের সুরক্ষা ও নিয়মিত জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।

পিছিয়ে যাচ্ছে পতেঙ্গা টার্মিনালের কার্যক্রম

পিছিয়ে যাচ্ছে পতেঙ্গা টার্মিনালের কার্যক্রম

আবারও পিছিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে নবনির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম। যদিও টার্মিনাল পরিচালনার প্রাথমিক যন্ত্রপাতি এসে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ইয়ার্ড প্রাঙ্গণে স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে। তবে এখনও টার্মিনাল পরিচালনায় আনুষঙ্গিক ছাড়পত্র পায়নি বিদেশি অপারেটর সৌদি আরবের রেড সি গেইটওয়ে। সেই সঙ্গে কাস্টম হাউসের সার্ভার এবং বন্দরের পণ্য ডেলিভারি সিস্টেমের সাথেও অনলাইন সংযোগ স্থাপিত হয়নি।