ফিশ ইমপোরটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানির বিষয় উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, যথাসম্ভব বিনয়ের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ আমদানি করে থাকি। সে হিসেবে প্রতিবছর পশ্চিমবঙ্গের পেট্রোপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানি করা হয়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১২ সালের জুলাইয়ে কোনো কারণে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। সে সময় থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা লিখিতভাবে জানিয়ে আসলেও কোনো সমাধান হয়নি। তবে গত পাঁচ বছরে (২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর) শুধু দুর্গাপূজায় নির্দিষ্ট সময়ে মাছ রপ্তানি করছে।
সে হিসেবে চলতি বছরের দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে ইলিশ মাছ পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখতে চাই যে, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার অধিবাসীদের কাছে বাংলাদেশী ইলিশ মাছ বেশ জনপ্রিয়।
চিঠির শেষ দিকে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। সেই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সৌহার্দ্যমূলক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে চাহিদার তুলনায় রফতানিকৃত ইলিশের পরিমাণ সম্পর্কেও তথ্য দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে ৫০০ টন চাহিদার প্রেক্ষিতে ৫০০, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৫০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৮৫০, ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ২০০, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৩০০ এবং ২০২৩ সালে ৩ হাজার ৯৫০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৩০০ টন ইলিশ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর ভারত বিদ্বেষও প্রবল আকার ধারণ করতে থাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ যায় ভারতে। তবে এবার ইলিশ যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আগে শেখ হাসিনা সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করতো। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। তবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের এই আবেদন।