গণতন্ত্র ও সবার অধিকার নিশ্চিত করতে আগামীর বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারে হাত দিয়েছে তার অন্যতম সহযোগী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাই সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দেশটির প্রতিনিধি দল।
এরই প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রদূত। রোববার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জামায়াতের আমির ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিল।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংস্কার, নারী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং গণতন্ত্রের বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে জামায়াত তার অবস্থান সম্পর্কে তুলে ধরে জানায়, রাজনীতিতে নারীদের অংশীদারিত্বে জামায়াতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। দলটির ৪৩ শতাংশ নারী বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবহিত করা হয়।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘তারা রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি যে এক্ষেত্রে আমরা খুবই উদার। আমাদের নারী পার্লামেন্ট মেম্বার ছিল। এখন আমাদের ৪৩ শতাংশ মহিলা সদস্য আছে যেটা আর কোনো দলের নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একটি বিষয়ে আপত্তি করেছি। যৌন কর্মীদের লাইসেন্স দেয়ার যে বিষয়টা সেটা নারীদের জন্য খুবই লজ্জাজনক, সম্মান এবং অধিকারের ওপর আঘাত। প্রত্যেকটি মানুষের সম্মান এবং মর্যাদা নিয়ে বাঁচার যে অধিকার সেই অধিকারে আঘাত। তাই এটার আমরা বিরোধিতা করেছি।’
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী সময়সীমায় জামায়াতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে ইইউকে জানানো হয়।
নায়েবে আমির বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং নির্বাচনের অবজার্ভারদের ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি। ইকুয়াল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হওয়ার জন্য, বিশেষ করে প্রতিটি বুথে যেন সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত থাকে সেই ব্যাপারে আমরা একটা প্রস্তাব করেছি, তারা এই প্রস্তাবকে এনকারেজ করেছে। এর জন্য যে বাজেট দরকার, আমরা তাদেরকে বলেছি যেন তারা সেই ব্যাপারেও আমাদের সহযোগিতা করে।’
এছাড়া আগামী নির্বাচনে প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর একজন ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ায় বিষয়ে জামায়াত অবস্থান স্পষ্ট করেছে।