আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

'ঢাকা-দুবাই ফ্লাইটে পাকিস্তানে ট্রানজিটের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে'

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানও। আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির হাইকমিশনার। এছাড়া বাংলাদেশের পাটপণ্যও আমদানি করতে চায় দেশটি। এদিকে, অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হলে ঢাকা-দুবাই ফ্লাইটে পাকিস্তানে ট্রানজিটের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

স্বাধীনতার পরের বছরই করাচির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ঢাকার। দীর্ঘ ৫২ বছরের যাত্রায় বাংলাদেশ পাকিস্তান সম্পর্ক খুব একটা না আগালেও থেমে থাকেনি।

বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো পোশাক, কৃষিপণ্য, চামড়া ও পাটজাত পণ্য। আর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য বেশি আমদানি করে তার মধ্যে আছে তুলা, সুতা, কাপড় ও গম। এছাড়া পাকিস্তানি শিশুখাদ্য, জুস, কাটলেরি ও অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামেরও বড় বাজার রয়েছে বাংলাদেশে।

তবে এবার ঢাকা করাচির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় পাকিস্তান। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী দেশটি। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরই এক চিঠিতে এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছিলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেই ধারাবাহিকতায় কাজও শুরু করেছে দেশটি।

মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ আসেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। সেখানে কথা হয় দু'দেশের সম্পর্ক নিবিড় করার ব্যাপারে। সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান ঢাকা করাচি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে আগ্রহী দেশটি।

অর্থ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনে বলেন, 'পাকিস্তানের হাইকমিশনার এসেছিল আমার সাথে দেখা করতে। আমি তো দায়িত্ব নেয়ার কয়দিন পরই দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। সে তখন দেখা করতে চেয়েছিল, আমি তাকে সময় দিতে পারিনি। তারা ঢাকা-দুবাই ফ্লাইটে পাকিস্তানে ট্রানজিটের বিষয়ে বিমানের সাথে কথা বলছে। এটা হলে কমার্সিয়াল ভিত্তিতে হবে। যদি হয়, আমাদের তো কোনো সমস্যা নেই।'

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের কার্যালয়ে যান সৈয়দ আহমেদ মারুফ। বৈঠক করেন অর্থ উপদেষ্টার সাথে। এখানেও উঠে আসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বিষয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ বলেন, 'সামনের দিনগুলোতে ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। বন্যা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।'

আর অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের পাট পণ্য আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। ঢাকা করাচি ফ্লাইট সরাসরি না হয়ে দুবাই ফ্লাইটে ট্রানজিটের বিষয় চিন্তা করা হচ্ছে।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'তারা একটা বিষয়ে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা আমাদের জুট প্রোডাক্টের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।'

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বাংলাদেশিরা ভিসা ফি ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছিলেন সৈয়দ আহমদ মারুফ।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর